যশোরে বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মামলায় বারান্দীপাড়া বৌবাজার এলাকার আলোচিত মনির ওরফে কসাই মনি ও তার ঘনিষ্ট সহযোগী সনিকে আটক করেছে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা। রোববার সন্ধার পর চাঁচড়া মোড় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাকিব আহমেদ। আটককৃতদের কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। সোমবার পুলিশ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মনির ও সনি দুইজনেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে।
গত ৪ আগস্ট বিকেলে যশোর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্ত। এসময় অফিসের বিভিন্ন মালামাল লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ৬৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সাবেক সহসম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের নেতা শংকরপুর এলাকার অ্যাডভোকেট এমএ গফুর। এ মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ হাসান বিপু, মঈন উদ্দিন মিঠু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন, আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ, রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসান লাইফ, যশোর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী সুমন, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ হোসেন নয়ন ওরফে হিটার নয়ন, শাহাজাহান কবির শিপুল, বিরামপুরের হাদিউজ্জামান চিমা, বারান্দিপাড়ার জাকির হোসেন রাজিব। এছাড়া এই মামলায় আরও ১০০ থেকে দেড়শো জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন আসামিকে আটক করে র্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা। সর্বশেষ রোববার কসাই মনির ও সনিকে আটক করে।
রাতদিন সংবাদ