যশোরের এক যুবককে লিবিয়ায় নিয়ে ভালো বেতনে চাকরি দেয়ার নামে বেধে রেখে মারপিট ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে এক মানবপাচারকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। আটক রোকিবুজ্জামান ওরফে নয়ন মণিরামপুর উপজেলার চাখরেরগাতি গ্রামেরন মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। বুধবার রাতে নয়নের শ্বশুরবাড়ি সদর উপজেলার জয়ন্তা গ্রাম থেকে মুক্তিপনের একলাখ ৪২ হাজার টাকাসহ তাকে ধরে পুলিশে দেয়া হয়েছে। এঘটনায় ভুক্তোভুগি ওই যুবকের চাচা অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের মৃত ওহেদ আলীর ছেলে তাজউদ্দিন কিবরিয়া কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলায় নয়নের সহযোগি লিবিয়া প্রবাসী জয়ন্তা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেরে মাসুদসহ অজ্ঞাত আরও দুই তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি নয়ন ১৮ মাস আগে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে আসেন। তাজ উদ্দিনের ভাইপো চাপাতলা গ্রামের মোমিন মোল্লার সাথে নয়নের পরিচয় হয়। নয়ন জানান, লিবিয়াতে ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে সেক্ষেত্রে মাত্র তিনলাখ ৭০ হাজার টাকা দিলেই হবে। প্রলোভনে পরে রাজি হন মোমিন। একপর্যায় গত ৩০ আগস্ট নয়নসহ আরও দুই তিনজন অভয়নগরের চাপাতলায় যেয়ে সকলের সামনে থেকে মোমিনের কাছথেকে তিনলাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যান। পরে গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধায় নয়ন মনিহার সিনেমা হলের সামনে এসে মোমিনকে পাসপোর্ট ও ভিসা দিয়ে ঢাকায় যেতে বলেন। এবং বলেন সেখান থেকে লিবায়াতে পৌছালে ২ নং আসামি মাসুদ তার সবকিছু ব্যবস্থা করে দেবেন। মোমিন সেই কথামত লিবিয়াতে চলে যান। এরপর মাসুদ বিমান বন্দর থেকে মোমিনকে নিয়ে যান। এরমাঝে গত ২২ সেপ্টেম্বর মোমিনকে আটকে রেখে মারপিট করতে থাকে। মুখ হাতপা বেধে মোমিনের আত্মচিৎকারের ফুটেজ পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয় মাসুদ। এরপর ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে । একই সাথে বলেন ওইদিনই পাঁচলাখ টাকা নয়নের কাছে না দিলে মোমিনকে খুন করা হবে। পরে নয়নের সাথে যোগাযোগ করে বুধবার রাতে মুক্তিপণের একলাখ ৪২ হাজার টাকা নিয়ে নয়নকে দিতে তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন। ওই টাকা গ্রহন করেন নয়ন। একপর্যায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়রায় নয়নকে আটকে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এনে নয়নকে হেফাজতে নেন। পরে এ ঘটনায় মামলা করেন মোমিনের চাচা তাজউদ্দিন।
রাতদিন সংবাদ