যশোর শহরের কুইন্স হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেডে এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হট্টগোল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে। মৃত প্লাবন হোসেন (২৩) সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মৃত ওসমান বিশ্বাসের ছেলে ও হামিদপুর আল হেরা কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
মৃতের বন্ধু হৃদয় হোসেন জানান, ২৪ সেপ্টেম্বর তারা প্লাবনকে জ্বর নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি করে। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা হচ্ছেনা মর্মে স্বজনরা অভিযোগ তুলে সকাল সাতটার দিকে কুইন্স হসপিটালে নিয়ে যায়। এ সময় রোগী নিজ পায়ে হেঁটেই বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানে ৫৩১ নম্বর কেবিনে তাকে ভর্তি করা হয়। ভর্তির দীর্ঘ সময় পরও রোগীকে কোনো ডাক্তার দেখতে আসেনি অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। বিকেল সাড়ে চারটায় দিকে রোগীর প্রসব বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় একজন ডাক্তার এসে প্লাবনের প্রসবের রাস্তায় ক্যাথেটার পরানোর কিছু সময় তার মৃত্যু হয়।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ভর্তির পর থেকে প্লাবনের সঠিক চিকিৎসা দেয়া হয়নি। ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলে রোগীর মৃত্যু হতো না। তারা এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন।
কুইন্স হসপিটালের এডমিন আইটি হাসান ইমাম শিমুল জানান,এই প্রতিষ্ঠানে রোগীর অপচিকিৎসা বা ভুল চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই। ওই রোগী কুইন্সে ভর্তি হওয়ার সময় পূর্বে তার কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে পারেননি। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে রোগী আগে থেকেই লিভার জন্ডিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিল। রোগীর সাথে আগতরা তাদের পাঁচতলার কাউন্টার, নীচতলায় হেল্প ডেস্ক ও ম্যানেজারের রুম ভাংচুর করেছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাতদিন সংবাদ