বাজার মনিটরিং ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি করছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ বাজার ব্যবস্থাপনায় ও চলমান সংকট নিরসনে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) যশোরের চুরামনকাঠি বাজারে ঘুরে যবিপ্রবির বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের মাছুম বিল্লাহ নেতৃত্বাধীন একটি দল এ মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা যায়।
জানা যায়, মূলত এ কার্যক্রমের আওতায় কাঁচা বাজার, মুদি দোকান, এবং কাপড়, কসমেটিক্স ও গ্রোসারি দোকানগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।শিক্ষার্থীদের দল মূলত পাইকারি ও খুচরা বাজার, দ্রব্যমূল্যের মূল্য তালিকা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনো জিনিস আছে কিনা সেগুলো যাচাই-বাছাই করেন।
বাজার মনিটরিংয়ে তারা উল্লেখযোগ্য অসংগতি দেখতে পান। তারা লক্ষ্য করেন যে, বাজার কমিটির নামে চাঁদাবাজি, যা ব্যবসায়িক স্বচ্ছতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি মূল্য তালিকা না থাকা, অবৈধ স্থাপনার মাধ্যমে জনগণের জমি দখল, রাস্তার পাশে অবৈধ স্থাপনা, স্থানীয় নেতাদ্বারা সাধারণ দোকানদারদের হুমকি প্রদানের মতো অসংগতি লক্ষ করেন। তারা ব্যবসায়ীদের সচেতন করেন এবং পরবর্তীতে সব নিয়ম মেনে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেন।
এ বিষয়ে মাসুম বিল্লাহ বলেন, দেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিবেশকে স্থিতিশীল করাতেই গত ৫ আগস্ট থেকে আমরা একটি দল গঠন করে যশোরের বিভিন্ন বাজারে বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ চুরামনকাঠি বাজার মনিটরিং করি। বাজারগুলোতে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অসংগতি দেখা গেছে। এসব অসংগতি দূরীকরণে আমরা জনমনে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করি।
এই মনিটরিং কার্যক্রম যশোরের বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলমান সংকটে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্যই ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।
বিশেষ প্রতিনিধি