নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর পূর্বপাড়া গ্রামে আকস্মিক নবগঙ্গা নদী ভাঙ্গনে নি:স্ব হয়েছে অন্তত ২০-২৫থেকে টি পরিবার। খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.সবিবুর রহমান ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এর আগে গত (২১ সেপ্টেম্বর) শনিবার ও (২৫ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আকস্মিক নবগঙ্গা নদী ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হয় পরিবারগুলো।
ভুক্তভোগীরা জানায়, আকস্মিক এ নদী ভাঙ্গনে মুহুর্তের মধ্যে গ্রামের রিলু ফকির, মাকসুদ ফকির, মাহাবুর ফকির, রোকেয়া বেগম, মহাদত শেখ, জনি শেখ, ইমদাদ মাষ্টার, ঝর্না বেগম, রিপনা বেগম, কালু সরদার, শহিদুল মোল্যাসহ ১১ টি পরিবারের বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে আরো ১৫-১৬ টি পরিবার কিছু মালামাল সরাতে পারলেও রক্ষা হয়নি বসতভিটা। এ ছাড়া তীরবর্তী একটি মসজিদসহ অনেকগুলো পরিবার রয়েছে মহা আতঙ্কে। অনেকের ফসলী জমিও বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। অতি দ্রুত নদী শাসনের ব্যবস্থাসহ পুরর্বাসনের দাবী জানান অনাহারে থাকা ভুক্তভোগী পরিবার গুলো।
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি অবগত হয়ে সরেজমিনে নবগঙ্গা নদী ভাঙ্গন দেখতে এসেছেন। এখানকার ভাঙ্গনের প্রবনতা কী ভাবে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে ব্যবস্থা নিবেন এবং শিঘ্রই নবগঙ্গা নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আর কে-০২
- Advertisement -