নড়াইল প্রতিনিধি নড়াইল সদর উপজেলায় শাহাবাদ ইউনিয়নের ধোন্দা গ্রামে নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে প্রতিবন্ধী পরিবারসহ নি:স্ব হওয়ার পথে বেশ কিছু পরিবার। কয়েকদিনের ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি, গাছপালা। হুমকির মুখে রয়েছে নড়াইল-মাগুরা সড়ক ও বসত ভিটা। নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। নদী ভাঙ্গনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যনসহ গনমান্য ব্যক্তিবর্গ। শনিবার সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, কয়েকদিন আগের প্রবল বর্ষন এবং নদীর তীব্র স্রোতের কারনে নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ধোন্দা গ্রামের মোঃ হারুন শেখ এর বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বসত ভিটা, মেহেগনি বাগান, গাছপালা, নদী ভাঙ্গনের চরম ঝুকির মধ্যে রয়েছে। ধোন্দা গ্রামের মোঃ হারুন শেখ বলেন, নদী ভাঙ্গনে আমার বসতভিটার একটা বড় অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী আর মাত্র ২ হাত ভাঙ্গনে আমার একটি পাকাবাড়ি নদী গর্ভে চলে যাবে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা মোঃ ইমরান বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে নদীভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে সরকারের কাছে আবেদন করে আসছিলাম। কিন্তু এখনো কোন কাজই হলো না। জরুরি ভাবে কাজ শুরু করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। যে কোন সময় আমাদের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এখন আমরা খুব আতংকের মধ্যে আছি। নড়াইলের শাহবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন চিত্রা নদীতে এর আগে কখনও এই ভাঙ্গন দেখা যায়নি। কিন্তু এখন ধোন্দা গ্রামের পাশে চিত্রা নদীতে যে ভাবে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তাতে আস্তে আস্তে ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে এ গ্রামের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। আমি ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রকল্প প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই কাজ শুরু করা যাবে।