কিছুদিন আগেই এসেছে ভিভো ভি৪০ লাইট। স্মার্টফোনটির মূল আকর্ষণ এর ডিজাইন। চারপাশের ফ্রেম ও ব্যাক প্যানেল মেটালিক স্মুদ ফিনিশ রয়েছে ডিভাসটিতে। ব্যাক সাইডে থাকছে ফ্রস্টেট ইফেক্ট। এতে হাতের ছাপ পড়ে না বললেই চলে। টাইটেনিয়াম সিলভার ও এমারাল্ড গ্রিন- এই দুটি রঙে এসেছে স্মার্টফোনটি। বিশেষত, টাইটেনিয়াম সিলভার মডেলের কালার চেঞ্জিং টেকনলজি ডিজাইনটি চোখে পড়ার মতো। ক্যামেরা সেটআপের ডিজাইনটাও সুন্দর। ওজনে হালকা (মাত্র ১৮৮ গ্রাম) ও পাতলা (৭.৭৯ মিলিমিটার) হওয়ায় দীর্ঘ সময় এক হাতে ব্যবহারও আরামদায়ক গ্রিপ পাওয়া গেছে স্মার্টফোনটিতে।
ভিভো ভি৪০ লাইট এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জ দিয়ে মাত্র আধাঘন্টায় ৮০ শতাংশ চার্জ হয়। আবার ওভারনাইট চার্জিং প্রোটেকশনও রয়েছে। একবার ফুল চার্জ দিয়েই প্রায় দেড় দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া গেছে। এমনকি গেমিংয়ের জন্য বেশ উপযোগী স্মার্টফোনটি। দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারেও ডিভাইসের তাপমাত্রা বেড়ে যায় না। কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসরের সঙ্গে মানানসই ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রম ল্যাগ ফ্রি পারফরম্যান্স নিশ্চিত করেছে।
ভিভো ভি৪০ লাইট এর ২৫৬ জিবি স্টোরেজটির দাম ৩১,৯৯৯ টাকা। অপরটি ১২৮ জিবি স্টোরেজের স্মার্টফোনটির দাম ২৮,৯৯৯ টাকা। আবার ডিসপ্লেটি দেখতে বেশি হাইটেক। ওপরের পাঞ্চহোল কাটআউট ক্যামেরাটি ভিভোর অন্যান্য স্মার্টফোনের ক্যামেরার আকারের চেয়ে ছোট। ১২০ হার্জ হাই রিফ্রেশ রেটের কারণে মাল্টিটাচ ক্যপাসিটিভ ডিসপ্লেটিতে খুব স্মুথ এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যায়। এমনকি সান লাইটে ব্যবহার করতে গিয়ে ডিসপ্লেতে উজ্জ্বলতার কমতি ছিল না। স্মার্টফোনটির ১৮০০ নিটসের স্ক্রিনটি রোদে বা কড়া আলোয় ছবি তোলা বা ভিডিও দেখায় ঠিকঠাক ভিজ্যুয়াল দিচ্ছে। এছাড়াও ডুয়াল স্টেরিও স্পিকারের সঙ্গে ৩০০ শতাংশ অডিও বুস্টারের সুবিধা থাকায় ভিডিও, গান শোনা ও গেমিংয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা পাওয়া গেছে।
ভিভো স্পেশাল এআই অরা লাইট পোর্ট্রেট এবং কালার টেম্পারেচার এডজাস্টমেন্টের বিশেষ সুবিধা পাওয়া গেছে স্মার্টফোনটিতে। ৫০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেলের বোকেহ ক্যামেরার তোলা ছবি কালার, কনট্রাস্ট ও শার্পনেসের দিক থেকে বেশ ন্যাচারাল। সেলফি ক্যামেরায় অবশ্য ছবিতে বেশ ঝকঝকে ভাব দেখা গেছে, যা সেলফি লাভারদের কাজে আসবে। পাশাপাশি এআই ফিচার যেমন এআই ইরেজ দিয়েছে বাড়তি সুবিধা। নাইট মোডে এই রেঞ্জের অন্যান্য স্মার্টফোনের চেয়ে অনেক স্পষ্ট ও রঙ্গিন ছবি দিচ্ছে ভিভো ভি৪০ লাইট।
আইপি৬৪ রেটিং থাকায় ধুলো, পানি থেকে সুরক্ষিত। ঠান্ডা ও গরম পরিবেশে বা কুয়াশার মধ্যে পুরোদমে ব্যবহার করা যায় ভিভোর নতুন স্মার্টফোনটি। মোট কথা, ডিজাইন, পারফরম্যান্স, ক্যামেরা ও স্থায়িত্ব- সবদিক থেকে একটা শক্তপোক্ত ব্যালান্সড ডিভাইস ভিভো ভি৪০ লাইট।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ^মানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৫০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।
বিজ্ঞাপন