Saturday, October 12, 2024

কাঠালিয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে টাকা দিচ্ছে অন্য শিক্ষক, রাজি না হওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধর। 

কাঠালিয়া প্রতিবেদক।। ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলা’র চেঁচরীরামপুর এম.এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসানে’র বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে এবং মারধরের জন্য শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে উসকে  দিচ্ছে ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন। প্রধান শিক্ষকে মারধর করার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অত্র বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনির এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ অত্র বিদ্যালয় এর সহকারী প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন সোহরাবের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ১১ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. মনির বেপারী।
অভিযোগ সূত্রে পাওয়া যায়, ১০ সেপ্টেম্বর স্কুল চলাকালীন সময়ে দুপুর ১ টার দিকে সীমান্ত কে স্কুলের অফিস কক্ষে ডেকে নেয় সহকারী প্রধান শিক্ষক সারোয়ার হোসেন। তাকে ডেকে নিয়ে ৫০০ টাকা হাতে দিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান স্কুলে আসলে তার উপর আক্রমণ করতে নির্দেশ দেন এবং আন্দোলন আরো কঠোর করতে বলেন। তখন সীমান্ত শিক্ষকের উপর আক্রমণ করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে চড় থাপ্পর মারেন সরোয়ার হোসেন সেই ঘটনার ভিডিও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ অত্র বিদ্যালয়ের আর এক সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার সঠিক বিচার চেয়ে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সীমান্তর অভিভাবক মো. মনির বেপারী।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, লাঞ্চ টাইমে সীমান্ত ক্লাস থেকে বের হয়েছে তারপরে আর আসে নাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন জানান, সীমান্তকে আমি ডাকি নাই ও অফিস রুমে এসে শিক্ষকদের চেয়ারে বসেছে। আমি তাকে একটা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসিয়ে রেখেছি। মারধরের কোন ঘটনা ঘটে নাই। বর্তমানে পুলিশের লাঠিই হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছে তাদেরকে মারতে যাবে কে। এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন, আমার বিরুদ্ধে এলাকার কিছু বহিরাগত লোক টাকা দিয়ে উসকে দিয়েছে বিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক সারোয়ার হোসেন। ২১ আগস্ট স্কুলে এসেছি তখন কিছু বহিরাগত লোকজন এসে আমার গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, স্কুলের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে। এ বিষয়ে আমি আদালতে মামলা করেছি। এজন্যই আমি কিছুদিন যাবৎ স্কুলে আসিনা তবে শিক্ষার্থীকে মারধর করার ঘটনা কোন ভালো বিষয় না।
এ বিষয়ে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক।
- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত