ঝিনাইদাহ এলজিইডির গাড়ি চালক হাসানুজ্জামান জগলু হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে যশোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশ (পিবিআই)। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক গাজী মো. মাহাবুবুর রহমান।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো নিহত জগলুর স্ত্রী কুষ্টিয়া স্কুলপাড়ার মৃত খন্দকার আব্দুস সামাদের মেয়ে তহমিনা পারভীন তমা ওরফে হালিমা, মুন্সিগঞ্জজের সিরাজদিখান থানার তাজপুর গ্রামের মৃত কবির হোসেন ছেলে ঢাকার বাসিন্দা মোরসালিন ভুইয়া মিশু, বরিশাল বানারীপাড়ার থানার পশ্চিম জিরারকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল হালিম ঢালীর ছেলে ঢাকার বাসিন্দা আল আমিন ঢালী ও খুলনা ডুমুরিয়ার নরনিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান খানের ছেলে ঢাকার উবার চালক হুসাইন আহমেদ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জগলু ঝিনাইদাহ এলজিইডি’র অফিসের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি অফিসের ডরমেটরিতে থাকতেন। ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট রাতে অফিসে কর্মরত আনসার সদস্যকে জানয়ে তিনি ভাইরা বাড়ি দাওয়াত খেতে যান। এরপর তিনি আর ফেরেনি। পরদিন সকলে কুষ্টিয়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতার মাধ্যমে পরিবারের সদ্যরা সংবাদ পেয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে এসে লাশ সনাক্ত করে।
এরআগে কোতয়ালি থানা পুলিশ চুড়ামনকাঠি-বারিনগরের মাঝামাঝি রাস্তার পাশ থেকে অপরিচিত এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করে। কেবা কারা তার গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে।
২৮ আগস্ট নিহতের ভাই এটিএম হাকিমুজ্জামান কাবলু অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়।
এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও স্বাক্ষীদের দেয়া বক্তব্য যাচায় বাছায় করে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত চারজনকে আটক দেখানো হয়েছে।
রাতদিন সংবাদ