রাজধানীর জুরাইন রেলগেটে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে জুরাইনে পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে জুরাইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকেরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রেখেছে। এতে আটকা পড়েছে অন্তত দুটি ট্রেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের কারণে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার নামের একটি ট্রেন সেখানে আটকা পড়েছে। আর নকশীকাঁথা কমিউটার নামে একটি ট্রেন ঢাকা ছাড়তে পারছে না। চালকদের অবরোধে আপাতত ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা–মাওয়া–পদ্মাসেতু রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেন আদালত।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাইকোর্ট থেকে অটোরিকশা বন্ধের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা তাঁরা মানেন না। এই নির্দেশ প্রত্যাহার চান তাঁরা। যতক্ষণ পর্যন্ত অটোরিকশা চালানোর অনুমতি না দেয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।