যশোর ২৫০ শহর জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত সেবিকারা চার ঘন্টা কর্ম বিরতি পালন করায় সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ এ কর্মবিরতি পালন করছেন।মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে সকল সদস্যরা হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে এটা পযন্ত কমবিরতি পালন করেন।
যশোর জেলা শাখার সমন্বয়ক সালমা খাতুনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স তহমিনা খাতুন, যশোর নার্সিং ইন্সট্রাক্টর, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ইন্সটেক্টর ইনচার্জ আর্জিনা খাতুন, ইন্সটেক্টর জান্নাত আরাসহ অন্যান্য নার্স, নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক বৃন্দ প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত সমন্বয়করা জানান, গত ৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাময়িকভাবে দুইজন নার্সিং কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরের পরিচালক পদে পরিপূর্ণভাবে পদায়ন না করে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্বে পদায়ন করা হয়। এছাড়াও অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) প্রশাসন নাসির উদ্দিনকে অধিদপ্তর থেকে প্রত্যাহার করে উক্ত পদে এবং মহাপরিচালক পদে এখনো যোগ্য ও অভিজ্ঞ নার্স প্রদান করা হয়নি। যার ফলে ৮অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ৪ (চার) ঘন্টাব্যাপী দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালসহ সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, কর্ম বিরতি চলাকালীন হাসপাতালের জরুরী ও মুমূর্ষু রোগীদের সেবায় নার্স ও মিডওয়াইফ জরুরী স্কোয়াড নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও জরুরি বিভাগ, ইমারজেন্সি,ওটি, ডায়ালাইসিস, আই সি ইউ, সিসিইউ, পিআইসিইউ, এইচডিইউ ইউনিটগুলি কর্মবিরতির আওতামুক্ত রয়েছে।
এদিকে যশোর হাসপাতালে স্কোয়াড নিয়োজিত সেবিকারা কর্মবিরতের সময় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে সেবা কাজ ব্যাহত করছেন। যে কারণে ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা রাউন্ডে গিয়ে সেবিকাদের না পেয়ে রোগীদের সঠিকভাবে সেবা দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন।
এ ব্যাপারে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা তার কাছে এমন অভিযোগ করেয়েছেন।বিষয়টি নিয়ে সেবিকা সমন্বয়কদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
-রাতদিন সংবাদ