যশোর জেনারেল হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের ক্যাশ বক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে হিসাব সহকারীর বিরুদ্ধে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যশোর জেনারেল হাসপাতালের টিকিক কাউন্টারের গেট বন্ধ করে বহিঃবিভাগের টিকিট বিক্রি করছিলেন প্রিয়ব্রত দেসহ ৩জন। এ দিন সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বহিঃবিভাগে ১হাজার ৫৩১টি টিকিক বিক্রি করেন। যার ১০টাকা হারে মূল্য দাড়ায় ১৫হাজার ৩১০টাকা। এর মধ্যে হাসপাতালে হিসাব সহকারী কামাল হোসেন নিজের পরিচয় দিয়ে টিকিট কাউন্টারে প্রবেশ করেন।
পরে প্রিয়ব্রতদে কাছে ২হাজার টাকা চান। কিন্তু প্রিয়ব্রতদে ক্যাশের হিসাবের টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হিসাব সহকারী কামাল হোসেন তার কাছে থাকা ক্যাশ বক্স ছিনিয়ে নিতে যান। তখন উভয়ের মধ্যে হাতা হাতি হয়। একপর্যায়ে কামল ক্যাশ বক্স জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান।
বিষয়টি প্রিয়ব্রত দে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুণ অর রশিদকে জানান। তখন তত্ত্বাবধায়ক হিসাব সহকারিকে তার কক্ষে ডেকে ক্যাশ বক্স নিয়ে হিসাব করে দেখেন কাউন্টারের একটি ক্যাশ বক্সে ৬হাজার ৪৬০ টাকা থাকার কথা। কিন্তু সেখানে ৫হাজার ৯৫০ টাকা বুঝে পান তত্ত্বাবধায়ক।বাকি ৫শ টাকা নিচের পকেট থেকে দিয়ে হিসাব ক্লোজ করেন তত্ত্বাবধায়ক।
এ ব্যাপারে হিসাব সহকারী কামাল হোসেন জানান, কাউন্টার থেকে ক্যাশ বক্স ছিনতাই করেছি কি করেনি। তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। যার কাছে জবাব দেওয়ার দরকার তার কাছে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ জানান,টিকিট কাউন্টার থেকে ক্যাশ বক্স কেড়ে নিয়েছে ঘটনা সত্য। কিন্তু সেখান থেকে তিনি ৫শ টাকা খরচ করেছিলেন। যা আমার পকেট থেকে দিয়ে মেকাপ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,নেশা গ্রহস্ত হওয়ার কারনে তিনি ঐ কাজ করেছেন।পরিবারের কথা বিবেচনা করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
রাতদিন সংবাদ