যশোরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামীলীগের ৬৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের নেতা শংকরপুর এলাকার অ্যাডভোকেট এমএ গফুর। আসামিদের তালিকায় রয়েছেন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড কাউন্সিলারের নাম।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, আওয়ামীলীগ নেতা মাহামুদ হাসান বিপুল, মঈন উদ্দিন মিঠু, সদর উপজেরা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন, আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ, রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসান লাইফ, যশোর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার হাজী সুমন, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার শাহেদ হোসেন নয়ন ওরফে হিটার নয়ন, সন্ত্রাসী শাহাজাহান কবির শিপুল, বিরামপুরের হাদিউজ্জামান চিমা, বারান্দিপাড়ার জাকির হোসেন রাজিব, সনি।
অন্য আসামিরা হলেন, ঘোপের সুজন, রাসেল, রেজওয়ান, হাশেম কাজী, বারান্দীপাড়ার কসাই মনির, নান্টু, তৌসিফুর রহমান রাসেল, আনোয়ার হোসেন সবুজ, নুরপুরের সাগর খাঁ, ছাতিয়ান তলার আব্দুল মান্নান মুন্না, আলমনগরের টিপু সুলতান, বিরামপুরের শাহাজান আলী কসাই, ছোট হৈবতপুরের সিদ্দিকুর রহমান, তালবাড়িয়ার আসমত আলী চাকলাদার, শালিয়াটের ইমলাক, আরএনরোডের কালো ফারুক,পল্টু, এজাজ আহম্মেদ, তালবাড়িয়ার ফিরোজ, আরএনরোডের টিপু সুলতান, উপশহরের সাগর, সুলতানপুরের ডেঞ্জার দিপু, তালবাড়িয়ার টিপু সুলতান, বারান্দীপাড়ার কামাল হোসেন, পুরাতন কসবার মামুন করিম, রায়পাড়ার রিয়াজ, টেরা চঞ্চল, বালিয়াডাঙ্গার রবিউল ইসলাম, বাদশা মিয়া, চাঁচড়া ভাতুরিয়ার শফিয়ার রহমান, আজাদ, তফসিডাঙ্গার মামুন, সিরাজুল, চাঁচড়ার সোহান, বারান্দীপাড়ার গোলাম কিররিয়া সানি, হামিদপুরের টেরা সুজন, অম্বিকা বসু লেনের টেরা মোস্তফা, রাযপাড়ার সাইফুল ইসলাম, বাপ্পী, ষষ্টিতলার সিকদার, সিটি কলেজপাড়ার নাহিদ, সাদ্দাম, গোলপাতা মসজিদ এলাকার জুয়েল, বিপ্লব, শংকরপুরের মানিক, মুরগী ফার্ম গেটের রাজু, আনসার ক্যাম্পের রোহান, শংকরপুর মহিলা মাদ্রাসা এলাকার শয়ন ও পরাতন কসবার মাসুম করীম। এছাড়া এ মামলায় আরও ১শ’ থেকে দেড়শোজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা সকলের আওয়ামলীগের সন্ত্রাসী। গত ৪ আগস্ট আসামিরা সকলে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হয় । এরপর তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে যায় লাল দিঘীর পাড়ের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে যান। এরপর তারা পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। এসময় অফিসে থাকা দুইটি ল্যাপটপ, আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে। এছাড়া প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এরপর তারা অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন জালিয়ে দেয়। এরপর আসামিরা বোমা হামলা চালায়। তারা ৪০ মিনিট তান্ডব চালায়। এসময় অফিস সহকারী মনিরুল অসুস্থ্য হয়ে পরে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় আসামিরা আওয়ামীলীগের শাসন আমলে নানা ধরণের অপরাধমুলক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
রাতদিন সংবাদ
যশোরে বিএনপির পার্টি অফিসে হামলার মামলায় আসামি হলেন যারা
- Advertisement -
- Advertisement -