সারাদিন যশোর শহরে একসাথে ঘুরেছিলেন তারা। এক পর্যায়ে বাধে বিপত্তি। রাতে প্রেমিকা যান নিজর মেসে আর প্রেমিক উঠেন বন্ধুর মেসে। ভোরে অভিমান করে শহরের সিটি প্লাজার পাঁচতলার কানির্শে অবস্থান নেন প্রেমিক। দীর্ঘ সাত-আট ঘণ্টা সেখানেই থাকেন। এক পর্যায়ে সেখান থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু পাশের দুইতলার ছাদে পড়ে গুরুতর আহত হন। সকলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান প্রেমিক। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর বাসস্ট্যান্ড এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন। শুক্রবার ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়।
স্থানীয় ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, জঙ্গলের রাজা টারজানের মত যশোর শহরের মানুষ সিটি প্লাজা বহুতল ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকতে দেখেন সাব্বিরকে। পরে তারা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। অন্যদিকে, সাব্বিরের প্রেমিকাও ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সাব্বিরকে নামাতে ব্যর্থ হন। প্রেমিকা নীচ থেকে সাব্বিরকে ডাকতে থাকেন। কিন্তু অভিমানী সাব্বির এক পর্যায়ে সেখান থেকে নীচে ঝাপ দেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, সাব্বিরের সাথে থাকা ওই নারী তাদের কাছে খবর দেন পলেটেকনিক কলেজে সাব্বিরকে চুরির অভিযোগে আটকে রাখা হয়েছে। পরে সেখানে পুলিশ যায়। কিন্তু সত্যতা মেলেনা। পরে সাব্বির ও ওই নারীকে থানায় আনা হয়। এক পর্যায়ে তারা চলে যান। এরমাঝে সকালে আবার খবর আসে সিটি প্লাজার কার্নিশে ওই যুবক উঠে বসে আছেন। তিনি আরও জানান, মুলত সাব্বির মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাকে দেখে মনে হয়েছে মানসিকভারসাম্যহীন একজন যুবক।
এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার সাকিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টি ৫৫ মিনিটে পুলিশ ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে জরুরিভিত্তিতে তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর বেলা একটায় ওই যুবক পালিয়ে যান।
রাতদিন সংবাদ