যশোরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বুনো আসাদ হত্যা মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে পুনঃচার্জশিট কাগজ সংবাদ যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আসাদুজ্জামান ওরফে বুনো আসাদ হত্যা মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে পুনঃচার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাাওয়ায় দুইজনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজিব। অভিযুক্ত আসামিরা হলো, শহরের শংকরপুর মাঠপাড়ার সুমনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল কাশেমের ছেলে হাসান ওরফে খাবড়ী হাসান, চাঁচড়া রায়পাড়ার বিল্লাল হোসেনের ছেলে বিপ্লাব হোসেন ও বেজপাড়া কবরস্থান রোডের চাটনী ওয়ালার বাড়ির ভাড়াটিয়া শহীদ মোল্যার ছেলে তাওহীদ মোল্যা। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর শহরের বেজপাড়া বনানী রোডের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বাড়িতে গরুর খামার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। একই এলাকার বিশ^জিৎ মুখার্জীর ছেলে ইন্দ্রজিৎ মুখার্জী ওরফে উৎপল ওরফে কানাই লাল কানু সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (পরিদর্শক) এনবিআর, কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামে কর্মরত আছেন। ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইন্দ্রজিতের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগ করেন আসাদুজ্জামান আসাদ। ওই অভিযোগটি প্রত্যাহারের জন্য আসাদকে চাপ প্রয়োগ করেন ইন্দ্রজিৎ মুখার্জী। কিন্তু রাজি না হওয়ায় একই বছরের ৪ নভেম্বর ইন্দ্রজিৎ মুখার্জীসহ অন্য আসামিরা আসাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে এলাকার সাদেক দারোগার মোড়ে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন আসাদ। এসময় ইন্দ্রজিতের হুকুমে সাদেক দারোগার মোড়ের নুরুন্নাহান হোমিও হলে সকল আসামি আসাদকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত, কিল ও ঘুষিসহ মারপিট করে। এর পরে আসাদের পকেটে থাকা ১২ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় আসামিরা। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজনে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল এবং অবস্থার অবনতি হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই মধ্যে আসাদুজ্জামানের ছোট ভাই সাহিদুর রহমান বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এরমধ্যে ২১ নভেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীণ অবস্থায় আসাদ মারা যান। পরবর্তীতে হত্যা চেষ্টার মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে তদন্ত হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামি চঞ্চল ও আকাশের আব্যহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়ায় মামলার বাদী আদালতে নারাজি আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক নারাজি আবেদন মঞ্জুর করে ডিবি পুলিশকে পুনঃতদন্তের আদেয় দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই তিনজনকে অভিযুক্ত ও চঞ্চল এবং আকাশের অব্যহতি চেয়ে পুনঃচার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। যশোরে পূর্বশত্রুতার জেরে হামলা, টাকা ও মূলবান জিনিসপত্র লুটপাট