যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র হায়দার গণি খান পলাশকে অপসরণ করে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে । ইতিমধ্যে গত ১৮ আগস্ট তাকে অপসরণের পর ১৯ আগস্ট যশোর পৌরসভায় যোগ দিয়েছেন প্রশাসক রফিকুল হাসান। পৌরসভার মেয়র কক্ষের নেমপ্লেটে এসেছে নতুন নাম।
তবে, একমাস পার হলেও সাবেক মেয়রের বাড়ির সামনের নেমপ্লেট এখনো পরিবর্তন করেন নি তিনি। যা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
স্থানীয়রা জানায়, নুন আনতে পান্তা ফুরানো হায়দার গণি খান পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতিক পাওয়ার পর থেকেই শুরু করেন বাণিজ্য। নির্বাচনী খরচের নামে বিভিন্ন মহল থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল মেয়রের দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই লাগাম ছাড়া হয়ে উঠেন তিনি। মসজিদের টাকা নিয়ে নয়ছয়সহ এহেন কাজ নেই তিনি করেন নি। তার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন মেয়র পুত্র ইমতিয়াজ গণি খান চন্দন ও ছোট ভাই সুমন। কয়েকদিনের মধ্যেই ছেলে হয়ে উঠে বড় নেতা। শহর জুড়ে ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে যায় । বাড়ির সামনেই বিশাল অফিস খুলে করেন নানা দেনদরবার। অন্যদিকে, সেলসম্যানের চাকরি করা ছোট ভাই সুমন হয়ে উঠে বড় ব্যবসায়ী নেতা। জেলরোডে তিনিও খুলে বসেন এসি অফিস। সেখানে পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে মিটিং সিটিং এ ব্যস্ত হয়ে পরেন। গত ১৮ আগস্ট পলাশকে অপসারণ করা হলেও এক মাসের বেশী সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কেন তিনি বাড়ির নেমপ্লেট পরিবর্তন করলেন না তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ হায়দার গণিখান পলাশ এখনো বাড়ির সামনে নেমপ্লেটে মেয়র লিখে রেখে অবৈধ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা । সেটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছেলে চন্দন ও ভাই সুমনও। এ বিষয়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট মহলের পদক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
সাইফ হোসেন