যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল (৬১) আর নেই। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে বুধবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু মোর্তজা ছোট। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত বছর স্ত্রী মারা গেছেন।
অ্যাডভোকেট আবু মোর্তজা ছোট জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর তিনি নিজ বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে দ্রুত যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জানা যায়, তার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। অবস্থা আশংকাজনক। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকায় নিয়ে বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে তার অপারেশন সম্পন্ন হয়। এরপর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেই থেকেই তিনি আইসিইউতে ছিলেন। এরমাঝে ঢাকা থেকে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় ডাক্তারদের পরামর্শে পরিবার তাকে সোমবার যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে আসেন। বুধবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুকে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি শোক প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। স্ত্রী ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করার এক বছরের মধ্যে মুকুলের চলে যাওয়ায় শোকে প্রায় পাথর হয়ে গেছেন পরিবারের সদস্যরা।
রাতে এ খবর লেখার সময় মুকুলের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে বেজপাড়ার নিজ বাড়িতে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছিল।
এদিকে, পিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাসদ যশোর জেলা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা অশোক রায়।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৭