যৌতুকের জন্যে মারপিটের অভিযোগে চতুর্থ স্ত্রীর করা মামলায় যশোর উপশহর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক তোহিদুজ্জামান মিঠুকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বাঘারপাড়া থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। মিঠু বাঘারপাড়ার পুকুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণি বিশ্বাসরে ছেলে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি তোহিদুজ্জামান মিঠু যশোর উপশহর ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ছয় মাস আগে পারিবারিকভাবে তিনি একই উপজেলার পশ্চিমা গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। এর আগে তার আরও তিনটি বিয়ে ছিল। আগের স্ত্রীদেরও যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বিয়ের কয়েক দিন যেতে না যেতেই চতুর্থ স্ত্রী তানিয়াকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে থাকেন মিটু। এক পর্যায়ে সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে তানিয়া পিতার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা যৌতুক এনে দেন তাকে। গত ১৮ জুন মিটু বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার সময় তানিয়াকে পিতার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল কেনার টাকা এনে দিতে বলেন। তানিয়া অস্বীকার করায় তোহিদুজ্জামান তাকে মারপিট করে জখম করেন। তানিয়া এব্যাপারে বাঘাপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলার তনন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সঞ্জয় কুমার দাস আসামি মিঠুকে আটক করে সোমবার আদালতে সোপর্দ করেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাতদিন সংবাদ