যশোরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আল-মামুন ওরফে আল-মাহমুদ হত্যা মামলার আসামি হৃদয় হোসেন ওরফে টেরা হৃদয় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। হৃদয় শহরের খড়কি হাজাম পাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে। বৃহস্পতিবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইনের আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মৃত আল মামুন কেশবপুর উপজেলার শেখহাটি গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে। তিনি শহরের খড়কি এলাকায় দুলুর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
গত ২৯ মে সন্ধার পর স্টেডিয়াম পাড়ার ববটগাছতলা পৌছালে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তিনি মারা যান। এঘটনায় নিহতের পিতা আবুল বাশার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৩ জন সহ অজ্ঞাত আরো ২/৩জনকে আসামি করা হয়। পরে মামলাটি তদন্ত করেন এসআই শেখ আবু হেনা মিলন। কয়েক আসামিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিও দেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মামলার এজাহারভূক্ত ২নং আসামি টেরা হৃদয় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
উল্লেখ এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, খড়কী হাজামপাড়া রেললাইনের পাশে রফিকের ছেলে সাব্বির হোসেন, খড়কী কলেজপাড়ার রাকিব হোসেন, শহরের বকচর বিহারী কলোনীর খানজাহান আলীর ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক, খড়কী কলেজ পাড়ার রসুল, এমএম কলেজ হকার্স মার্কেটের পিছনের মিলনের ছেলে তাসিন, খড়কী কলেজ পাড়ার জাহিদ, ধর্মতলার ব্লাক সিয়াম, ধর্মতলা কদমতলার মাহিম, খেলাডাঙ্গার সাধনের ছেলে জয় বিশ্বাস, খোলাডাঙ্গার নিশু, জিলা স্কুলের পিছনে সার্কিট হাউজ পাড়ার আনোয়ার গাজীর ছেলে বিপ্লব ও খড়কী কলেজপাড়া ইসমাইল।
রাতদিন সংবাদ