শুক্রবার যশোরে ৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে সদরের ২১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি (ইন্টেলিজেন্স এন্ড কমিউনিটি পুলিশিং) ইন্সপেক্টার সুমন কুমার ভক্ত, এসআই কাইয়ুম মুন্সী ও সদর উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল। আক্রান্ত তিনজনই নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সদরে আক্রান্তরা হলেন, উপশহর ইউনিয়নের বি বব্লক এলাকার আমদাবাদ কলেজের অধ্যক্ষ (৫১), রেলগেট পশ্চিম পাড়ার কাঠ ব্যবসায়ী(৬২), বেজপাড়া বনানী রোডের ৫২ বছরের পুরুষ, পুলের হাট পল্লী বিদ্যুতের এজিএম, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাসিন্দা যশোর সদর হাসপাতালের ৫৭ বছরের স্টাফ নার্স, একই এলাকার ২২ বছরের মহিলা। তার বাড়িতে এর আগেও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন।নীলগজ্ঞ এলাকার গৃহিনী স্ত্রী ও ঠিকাদার স্বামী, পুরাতন কসবা ঘোষ পাড়ার ডিএসবি’র পুলিশ কন্সটেবল(৫০), নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের পল্লী চিকিৎসক , পুরাতন কসবা কাজী পাড়া এলাকার ৩৭ বছরের একজন টাইলস ব্যাবসায়ী, ফুড গোডাউনের সামনের একই পরিবারের তিনজন, বাবা ব্যবসায়ী, মা এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও ছেলে ছাত্র।ঝুমঝুমপুর এলাকার ১৫ বছরের এক যুবক। এছাড়া আরো দুইজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন অফিসের ডাক্তার নামিস ফেরদৌস। এ বিষয়ে ওসি সুমন ভক্ত রাতদিন নিউজকে বলেন , তার শরীরে জ্বর আসায় তিনি ৩০ জুন পরীক্ষা করান। আজতার ফলাফল পজেটিভ হয়। বেজপাড়া পুজার মাঠের পাশে ভাড়াবাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখনও তার গায়ে সামান্ন জ্বর রয়েছে।এ বিষয়ে সুলতান মাহমুদ বিপুল জানান, চার-পাঁচ দিন আগে তার ও স্ত্রী টগর মাহমুদের (৪১) নমুনা দেওয়া হয়।কিন্তু এখন তারা সুস্থ্য আছেন। তবে তার মেয়েটার শরীরটা একটু খারাপ যাচ্ছে। এ বিষয়ে এসআই কাইয়ুম বলেন, তার গায়ে এখনো জ্বর রয়েছে। তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা সুস্থ্য আছেন। আক্রান্ত তিনজনই তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করেন। উল্লেখ্য, যশোরে শুক্রবার ৩৮ জন নতুন শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সদরের ২১ জন, অভয়নগরের ৬, শার্শা ৬, ঝিকরগাছার ৪জন, ও কেশবপুরের ১জন। । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন অফিসের মুখপাত্র ডাক্তার রেহনেওয়াজ রনি।
বিশেষ প্রতিনিধি