যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জামাতের বিরুদ্ধে আনিত নানা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তার আলোকে এবার অধ্যক্ষকে স্থায়ী ভাবে বরখাস্তের জন্য আপিল এ্যান্ড আরবিট্রেশন বোর্ডে আবেদন জানানো হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর এ আবেদন পাঠান প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বিল্লাল হোসেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ জুলাই অধ্যক্ষকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।একই সাথে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে গত ২৬ আগস্ট অধ্যক্ষকে কেন তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত ব্যবস্থ্যা নেয়া হবেনা তার কারণ জানতে চাওয়া হয়। একই সাথে সাতদিনের মধ্যে লিখিত অথবা স্বশরীরে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ কোনো জবাব না দেওয়ায় গত ১২ সেপ্টেম্বরের কমিটির মুলতবি সভায় এ স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ, কলেজে নানা রকম দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জামাতকে প্রথমে শোকজ করেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিল্লাল হোসেন। অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বিভিন্ন খাতওয়ারী অনিয়ম, দূর্নীতি, গভর্নিং বডির অবমাননা, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি, সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে নিজের ইচ্ছে মত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন, জাল জালিয়াতি, সরকারী প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠান থেকে বই চুরি সহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয় অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জামাতের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সভাপতি বিল্লাল হোসেন জানান, সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি একা নন। তার সাথে কয়েকজন সহযোগী রয়েছেন। যারা প্রতিষ্ঠানে থেকে প্রতিষ্ঠানের সাথে বেঈমানী করেছেন। লুটপাট করে খেয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। তাদেরকেউ ধীরে ধীরে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান মি.বিল্লাল।
রাতদিন সংবাদ