যশোর শহরের বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার বিল্লাল হোসেনের বাসায় চুরির ঘটনায় জড়িত আল-আমিন সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ওই বাসায় চুরির সাথে তার সাথে আরও দুজন জড়িত ছিলো বলে সে জবানবন্দিতে আদালতকে জানিয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম মল্লিক তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আটক আল-আমিন বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার রইচ উদ্দিনের ছেলে।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আল-আমিন জানায়, বিল্লাল হোসেনের বাসায় চুরির সাথে তার সহযোগী মানিক ও বাপ্পী জড়িত। মূলত মানিক ও বাপ্পী চুরি করার জন্য তাকে ডেকে নিয়ে যায়। ঘটনার রাতে বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার একটি ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটের (বিল্লাল হোসেনের ফ্ল্যাট) গ্রিল কেটে তারা ভেতরে ঢোকে। সেলাই রেঞ্চ দিয়ে মানিক গ্রিল কেটেছিলো। এরপর তারা একটি ঘরের ভেতরে ঢুকে চাবি পেয়ে যায়। ওই চাবি দিয়ে আলমারি খুলে তারা সোনার চেইন, কানের দুল, বালা এবং নগদ ২২ হাজার টাকা বের করে নেয়। তার কাছে ছিলো একটি গামছা। সেই গামছায় সোনার অলঙ্কার ও টাকা রেখে বেঁধে নেয়। তবে চুরির আগে তারা পাশের রুমের সিটকানি লাগিয়ে দিয়েছিলো। ওই রুমের ভেতর লোকজন ছিলো। সিটাকানি লাগানোর কারণে পাশের রুমের লোকজন চুরির ঘটনা টের পাননি। চুরির পর বাইরে এসে বাপ্পী ও মানিক সোনার অলঙ্কার নিয়ে যায়। তারা একথা বলে যে, সোনার অলঙ্কার বিক্রির পর তাকে টাকা দিবে। তবে চুরি করা টাকার মধ্যে তাকে সেই সময় ১৫ হাজার দেয়া হয়েছিলো। এরপর গত ১৮ জুন বিকেলে সে বেনাপোলে চলে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশের এসআই মফিজুর রহমান জানান, গত রোববার বিকেলে তারা আল-আমিনকে বেনাপোল থেকে আটক করেন। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আটক আল-আমিন বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকায় ক্ষমতাসীন দল আশ্রিত সন্ত্রাসী ট্যাবলেট সোহেলের সহযোগী। গত ১৭ জুন গভীর রাতে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার নেছার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের বাসায় হানা দেয়। এরপর দুর্বৃত্তরা ওই বাসা থেকে ২৩ ভরি সোনার অলঙ্কার ও নগদ ৮২ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরে ওই ব্যবসায়ী কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
বিশেষ প্রতিনিধি