এবার খোদ যশোর পুলিশ লাইন্স ব্যারাক থেকে গভীর রাতে পাঁচ পুলিশ কনস্টেবলের প্রায় পৌনে ২লাখ টাকা মূল্যের ৫টি মোবাইল ও নগদ ১০ হাজার টাকা চোর চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে এক বছর পাঁচ মাস পর গ্রেফতার করেছে। এরা হচ্ছে, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার খড়মপুরি গ্রামের আব্দুল মতিন প্রামানিকের ছেলে বিপ্লব প্রামানিক ও একই উপজেলার কাটা পুকুরিয়া গ্রামের মৃত ভরত চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী পলাশ দাস। এ সময় তাদের সহযোগী একই উপজেলার খামারোপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ মাষ্টারের ছেলে আমিনুল ইসলাম, একই উপজেলার হাতিপাড়া গ্রামের বর্তমানে মা টেলিকম সিংড়া মাদ্রাসা মোড়ের আতাউর রহমানের ছেলে তানভির মাহমুদ আপেলসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জ কে গ্রেফতার করতে পারেনি। গ্রেফতারকৃতরা আন্তজেলা মোবাইল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার কুশা ইছাপুর গ্রামের বর্তমানে যশোর পুলিশ লাইন যশোরের শরীফুল ইসলামের ছেলে কনস্টেবল নং ১৯২১ মুসফিকুর রহমান বুধবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত দেড়টায় পুলিশ লাইন নতুন বিল্ডিং ২য় তলা ভবনের ২০৩ নং রুমে সেসহ অন্যান্য পুলিশ কনস্টেবল শুয়ে পড়ে। ভোর ৫ টা ২০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার বালিশের পাশে রাখে অপ্পো কোম্পানীর ২৯ হাজার ৯৯০ টাকা মূল্যের মোবাইল নাই। ব্যারাকে অবস্থানরত অন্যান্যদের ডাকলে তারা সকলে ঘুম উঠে। ব্যারাকে থাকা ইমরান হোসেনের ব্যবহৃত স্যামস্যাং কোম্পানীর গ্যালাক্সি ৫৬ হাজার ৯৯০ টাকা মূল্যের ও নগদ ১০ হাজার টাকা, আকাশের স্যামস্যাং কোম্পানীর গ্যালাক্সি ২৮,৯৯০ টাকা মূল্যের মোবাইল,মনজুর হাসানের অপ্পো কোম্পানীর ২৩,৯৯০ টাকা মূল্যের ও পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল এর সিম্ফনী কোম্পানীর ১৫ হাজার ৯৯০ টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন নাই। এ বিষয় পুলিশ কনস্টেবল ইমরান হোসেন ১৪ ফেব্রুয়ারী কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরীভূক্ত করেন। সাধারণ ডাইরী নং ৭৪৫ তারিখঃ ১৪/০২/২০১৯ ইং। উক্ত ডিডিই তদন্ত করেন কোতয়ালি মডেল থানার এএসআই আলতাফ হোসেন। তদন্তকালে আলতাফ হোসেন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন চুরি যাওয়া মোবাইল গুলি নাটোর জেলার সিংড়া থানা এলাকায় ব্যবহৃত হচ্ছে। উক্ত তথ্যর ভিত্তিতে বুধবার ৮ জুলাই কোতয়ালি মডেল থানা থেকে চৌকশ একটি দল নাটোর জেলার সিংড়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে বিপ্লব প্রামানিককে পরে তার কথা মতো শ্রী পলাশকে গ্রেফতার করে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর উভয় উভয়কে মোবাইল চোর চক্রের সদস্য দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার ৯ জুলাই গ্রেফতারকৃত দু’জনকে আদালতে সোপর্দ করে।
বিশেষ প্রতিনিধি