যশোর জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে আইনজীবী সমিতি। এ আদালতের বিচারককে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত বিচারিক কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবেন না আইনজীবীরা। মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে বিশেষ সাধারণ সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।ঘটনার পর জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারককে দেয়া দায়িত্ব প্রত্যাহার করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারককে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর ভবন মিলনায়তনে বিশেষ সাধারণসভা এবং এটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলমের মৃত্যুতে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম ইদ্রিস আলী।এসময় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র আইনজীবী নজরুল ইসলাম, জেনারেল পিপি বাহাউদ্দিন ইকবাল, দেবাশীষ দাস, মাহাবুব আলম বাচ্চু, কাজী ফরিদুল ইসলাম, আবু মোর্ত্তজা ছোট, শাহানুর আলম শাহিন, আমিনুর রহমান, গাজী আব্দুল কাদির, আরএম মঈনুল হক খান ময়না, রুহিন বালুজ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমএ গফুর।বিশেষ সাধারণ সভা সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি এটর্নি জেনারেলের মৃত্যুতে আলোচনাসভা ও দোয়া মহফিলের আয়োজন করে। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী কর্মসূচির ব্যাপারে জেলা ও দায়রা জজকে অবহিত করতে হয়। এ দিন সকালে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্ব প্রাপ্ত ১ম আদালতের বিচারককে সভার বিষয়টি অবহিত করার জন্য সাক্ষাতের অনুমতি চান। তিনি তাদের সাথে সাক্ষাত করবেন না বলে পেশকারের মাধ্যমে জানিয়ে দেন। বিষয়টি আইনজীবীদের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সমিতির বিশেষ সাধারণ সভার আহবান করা হয়। এ সভায় সর্বসম্মতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক আব্দুল হামিদের আদালত বর্জন ও যশোর থেকে তাকে প্রত্যাহার করে না নেয়া পর্যন্ত এ বিচারিক কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেয় আইনজীবীরা।একই সাথে বিচারক মৃত্যুঞ্জয় মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে এক আইনজীবীর লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।সভায় মরহুম এটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলমের রূহের মাগফেরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানানো হয়। শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আকতার কামাল।
রাতদিন সংবাদ