ধীরে ধীরে যশোরে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে রয়েছে নানা বক্তব্য। কেউ বলছে পরীক্ষাতে মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে ফলে পরীক্ষা কম হচ্ছে আর শনাক্তও কমে যাচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি মানুষ অসুস্থ্য কম হচ্ছে ফলে নমুনাও পরীক্ষা হচ্ছে কম। শনাক্তের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।এদিকে, শুক্রবার যশোরে আরো ১৩জন শনাক্ত হয়েছে।শনাক্তদের মধ্যে যশোর সদরের ৯জন ও অভয়নগরের ৪জন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, যশোরে করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ১১শ’৩০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে আছেন একহাজার ১শ’৩ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৪ জন। বাকী ১৩ জন যশোরে পরীক্ষা করেছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরের বাইরে অবস্থান করছেন তারা। আক্রান্তদেন মধ্যে সদর উপজেলাতেই রয়েছে ৬শ’৯১জন। যা জেলার মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশী। এছাড়া ঝিকরগাছায় ১শ’৭৬, কেশবপুরে ১শ’১ জন, অভয়নগরে ৬৯জন, শার্শায় ৩০জন, মণিরামপুরে ২৭ জন, চৌগাছায় ২২ জন ও সবচেয়ে কম রোগী রয়েছে বাঘারপাড়া উপজেলায় ১৪ জন। সবমিলিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭শ’২৪জন। সুস্থ হয়েছেন ২৫শ’৪২জন। মৃত্যুর হয়েছে ৪৪ জনের। এছাড়া, যশোরের রোগী অনত্র যেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন আটজন।
যশোর সিভিল সার্জন সূত্র আরো জানায়, যশোর সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশী রোগী আক্রান্ত যেমন হয়েছেন তেমনি সুস্থ্যও হয়েছেন ১৩শ’৫৪জন। সদরে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। এছাড়া অভয়নগরে ৩শ’৮১ জন সুস্থ হয়েছেন ও মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।শার্শা উপজেলায় শনাক্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ২শ২৬ জন। মারা গেছেন দুইজন। মণিরামপুরে সুস্থ্য হয়েছেন ১শ’৩০ জন।এখনো পর্যন্ত মণিরামপুরে মৃত্যু ঘটেনি। চৌগাছায় ১শ২৪জন সুস্থ্য হয়েছেন ও মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। কেশবপুরে সুস্থ্য হয়েছে ১শ’৬৭ জন ও মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। ঝিকরগাছায় ৮১ জন সুস্থ হয়েছেন মৃত্যু হয়নি কারো। বাঘারপাড়ায় ৭৯ জন সুস্থ হয়েছেন এছাড়া এ উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিডিয়া ফোকাল পার্সন ডাক্তার রেহেনেওয়াজ রনি জানান, এছাড়াও আরো বেশকিছু রোগী রয়েছে যাদের সন্ধান মেলাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া অনেকের আক্রান্তের পর যশোর থেকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, যশোরে করোনা সংক্রমন অনেকটা কমে আসতে শুরু হয়েছে। ফলে আক্রান্তও কম হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যখন পরীক্ষা ৩শ’টাকা করে ছিলো তখন গড়ে প্রতিদিন দুইশোর বেশী নমুনা সংগ্রহ করা হত। কিন্তু এখন পরীক্ষা ফি একশো টাকা করা হয়েছে। কিন্তু এখন গড়ে নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে একশো থেকে দেড়শো। তেমনি ফলাফলও আসছে কম। তিনি দাবী করেন, সেসময় অসুস্থ্যতার সংখ্যা বেশী ছিলো ফলে রোগীরও চাপ ছিলো বেশি। এখন অসুস্থ্যতার সংখ্যা কমে গেছে ফলে শনাক্তও হচ্ছে কম।
উল্লেখ্য, শুক্রবার শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় আছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিদুল(৩৯), আর. এন. রোডের ইসমত জাহান(৩২) পুলিশ লাইনের শরিফুল ইসলাম(৪২) ঝুমঝুমপুরের জালাল(৩৮) বারান্দীপাড়ার সানা আক্তার(৩২) ঘোপের শাপলা(৪২) ও নাসরিন(৪০) রামকৃষ্ণপুরের জসিম(৪২) এবং সদরে নমুনা প্রদানকারী মনিরামপুর উপজেলার খলসা গ্রামের সেলিনা(২৬)।অভয়নগর উপজেলার বুইকারা ৫ নং ওয়ার্ডের সাদিকা সুলতানা(৩০) ও জোতিন(৬৫), চলিশিয়া কোটার কাজী আলম(৫৮) এবং গুয়াখোলা ৬ নং ওয়ার্ডের মো. মতিয়ার রহমান(৫৮)।
রাতদিন সংবাদ