যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া কলোনী মোড় ফারুকের বাড়ির ভাড়াটিয়া ও কামারগন্না মধ্যপাড়ার ইউনুচ আলীর ছেলে বিপ্লব মোল্যা (২৭) হত্যা মামলা্য় আটক স্ত্রীর আরেক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। এরআগে বিপ্লবের স্ত্রী সহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবী আটক জাহিদ নিহত বিপ্লবের স্ত্রীর প্রেমিক। মামলায় সন্দেহজনক আসামী শেখ জাহিদ হাসান (৩৮)কে পুলিশ বৃহস্পতিবার ২৭ আগষ্ট বিকেলে গ্রেফতার করে। সে যশোর শহরের পুলিশ লাইন টালী খোলা গ্রামের মৃত শেখ আমিরুল হকের ছেলে। বিপ্লব মোল্যা হত্যা কান্ডের ঘটনায় স্ত্রী কুলসুম আক্তার কুলসুম, সহযোগী তাসবিরুল হোসেন ও আব্দুল মতিনকে ২৬ আগষ্ট এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পর তাদের দেওয়া তথ্য মতে কুলসুমের পরকীয়া প্রেমিক জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুক্রবার ২৮ আগষ্ট তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জাহিত হোসেনকে উক্ত বিপ্লব মোল্যা হত্যাকান্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৩ জুন রাত ১১ টা থেকে ৩ টার মধ্যে বিপ্লব মোল্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামিরা। ওই চক্র মৃত্যুর রহস্য গোপন করে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার চালায়। পরবর্তীতে ময়না তদন্ত রিপোর্টে বিপ্লব মোল্যাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন আসার পর ১৮ আগষ্ট বিপ্লব মোল্যার পিতা ইউনুচ আলী বাদী হয়ে ছেলের বউ কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুম,তাসবিরুল হোসেন হৃদয়,আব্দুল মতিনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন উল্লেখ কওে কোতয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ছেলের বউসহ তিনজকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে তাদেরকে রিমান্ডে নেওয়ার পর গুরুত্ব পূর্ণ তথ্যর ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ২৭ আগষ্ট বিকালে পরকীয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে বিপ্লব মোল্যার মৃত্যুও খবর পেয়ে জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করে। এদিকে, বিপ্লবের পিতা অভিযোগ করেছেন, আটক জাহিদ একটি ক্যাডার গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন। জাহিদের আটকের পর একদল সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে যেয়ে তান্ডব চালায়।একই সাথে নানা ধরণের ভয়ভীতী ও হুমকি দেন। এখন তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও জানান।
বিশেষ প্রতিনিধি