যশোরে কলেজ অধ্যক্ষ, ব্যাংক কর্মকর্তা, সেবিকা, ব্যবসায়ীসহ মঙ্গলবার নতুন আরও ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সদরের ছয়জন, অভয়নগরের একজন, মণিরামপুরের ছয়জন, কেশবপুরের চারজন এবং শার্শার দশজন। মঙ্গলবার করোনা আক্রান্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন পুরাতন কসবার ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তা তানভির রায়হান (৩৪), একই এলাকার ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম(৫০), ডালমিল এলাকার বাসিন্দা বিদ্যুৎ অফিসের ডিডি রেজাউলের স্ত্রী শাম্মী আক্তার, আশ্রমরোড এলাকার বাসিন্দা ডাক্তার গৌতম ঘোষের স্ত্রী দিপ্তি (৩৪), বকচর এলাকার টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ কাজী বরকত ইসলাম (৪৩)। এছাড়া যশোরে পরীক্ষা করানো হলেও অন্য জেলার বাসিন্দা হওয়ায় ঝিনাইদাহের মিজানুর রহমান, খুলনার মুরাদ শেখ, নাসির উদ্দিন, পুলক কুন্ডু, জাসিম শিকদার ও মাহিনুল ইসলামকে তাদের জেলাতে রেফার করা হয়েছে। এছাড়া শার্শা উপজেলায় শনাক্ত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সিয়াম(৭০), রফিকুল ইসলাম (৪০) ও সোহেল রানা(৩৩), পূর্বপাড়ার সুজিত শংকর (৩৮)।পরিচয় পাওয়া যায়নি নজরুল ইসলাম(৬৫), রাশেদুজ্জামান(৪১), ইসমত আরা (৩৮), জামাল হোসেন (৬৫) এবং আলিফা ফেরদৌসীর (৫০)। কেশবপুর উপজেলায় আছেন মণিশংকর দাশ(২৫), হোসাইন মো. ইসলাম(৫০), কান্তা মণ্ডল দিপা (২০) এবং মো. রফিকুল ইসলাম (৩৮)। সদর উপজেলা মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) এ এন এম নাসিম ফেরদৌস জানান, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত যশোরে সাত হাজার আটশ’ ৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ছয় হাজার পাঁচশ’ ২৫ জনের। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার চারশ’ ১৪। সুস্থ হয়েছেন সাতশ’ ১৫ জন। হাসপাতাল আইসোলেশনে আছেন ৪০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ছয়শ’ ১৫ জন। রেফার করা হয়েছে আটজনকে।
রাতদিন সংবাদ