যৌতুকের চার লাখ টাকা না পেয়ে স্ত্রীর সাথে তোলা অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ফেসবুকে আপলোড করে দিয়েছে এক স্বামী। এ ঘটনায় বুধবার যশোরে পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে আদালতে মামলা করেছে স্ত্রী। অভিযোগের বিষয় আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীর হোসাইন আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মামলার আদেশের দিন ধার্য করেছেন। স্বামী মেহেদী হাসান চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তপুর উপজেলার সিদ্দিগ্রামের কবির হোসেনের ছেলে। যৌতুকের টাকা না দেয়ায় মোবাইলে ফেক আইডি খুলে স্বামীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল মেহেদি হাসানের সাথে তার তিন লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে যৌতুকের জন্য মানুসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু বাদী পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। কয়েকদিনের মাথায় এবার চাকরির অজুহাত দিয়ে আসামি চার লাখ টাকা দাবি করে। পরে বাদীর পিতাকে সে জানিয়ে দেয় টাকা ছাড়া সংসার করবেনা। পরে বাদীকে চলতি বছরের ১০ জুলাই আসামি বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় বাদী আদালতে যৌতুকের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এতে করে মেহেদী হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। নানা ধরণের হুমকি দিতে থাকে সে। একপর্যায় ফেসবুকে অজানা দেশের ভালোবাসা ও ভালোবাসা অজানা নামের দুটি ফেক আইডি খোলে। পরে ওইসব আইডিতে বাদীর সাথে মোবাইলে তোলা বিভিন্ন অন্তরঙ্গ ও পর্ণো ছবি ফেসবুক আইডিতে আপলোড করে। এবং তাতে কূরুচি পূর্ন মন্তব্য করতে থাকে। একই সাথে সেসব পর্ণো ছবি বাদীর পরিচিতদের মোবাইলে পাঠিয়ে নানা ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকে।
রাতদিন সংবাদ