মোটর সাইকেল ও মোবাইল চুরি করে চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে জুয়েল মোড়ল নামে এক সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। আটক জুয়েল যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে। যশোর সদর উপজেলার ফরিদপুর আলমনগর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে হাবিবুর রহমান মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) কোতয়ালি থানায় এজাহার দায়ের করেন। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন পেশায় তিনি একজন রাজ মিস্ত্রীদের প্রধান মিস্ত্রী। গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সে তার ব্যবহৃত পুরাতন ডিসকভার মোটর সাইকেল-১০০ সিসি। যার নং (যশোর হ-১৬-৭৮৩৬) নিয়ে সদর উপজেলার শেখহাটি কালীতলা মোড় মন্দিনের সামনে যায়। সেখানে তার মোটর সাইকেল রেখে পাশের্^র এক বাড়িতে কাজ দেখতে যায়। আধা ঘন্টা পর ফিরে এসে দেখেন তার মোটর সাইকেলটি নাই। মোটর সাইকেলের হ্যান্ডেলে ঝুলানো একটি ব্যাগের মধ্যে স্যামসাং কোম্পানীর ৭ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন নাই। বিভিন্ন স্থানে খুঁজা খুজির এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে রিং আসে। মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় মোটর সাইকেল পেতে হলে তাদেরকে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজী হলে হাবিবুর রহমানকে হামিদপুর মোড়ে আসতে বলে। সেখানে গেলে তার কাছ থেকে জুয়েল মোড়ল ১৫ হাজার টাকা গ্রহন করে মোটর সাইকেল দেওয়ার কথা বলে দ্রুত চলে যায়। চলে যাওয়ার সময় বাকী টাকা দিয়ে মোটর সাইকেল নেওয়ার কথা জানায়। পরবর্তীতে তালবাড়িয়া ফুলতলা মোড় যেতে বললে ৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার সময় গেলে সেখান থেকে ১৩ হাজার ৭শ’ টাকা নিয়ে মোটর সাইকেল না দিয়ে তালবাহনা করতে থাকে। বিষয়টি হাবিবুর রহমান ওই রাতে তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের অফিসারের কাছে বলে। তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই স্বপন কুমারসহ একদল পুলিশ তালবাড়িয়া কলেজ মোড় থেকে জুয়েল মোড়লকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার অপর সহযোগী শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার পইচোর ছেলে রাসেল হোসেনসহ সহযোগী অজ্ঞাতনামা ২/৩জন দ্রুত পালিয়ে যায়। জুয়েল মোড়লের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মোটর সাইকেল ও চাঁদা স্বরুপ নেওয়া ২৬ হাজার ৭শ’ টাকা উদ্ধার করে। বুধবার দুপুরে জুয়েল মোড়লকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
রাতদিন সংবাদ