যোগসাজসে মিথ্যা জখমী সনদ তৈরী করে এবং এ জখমী সদনের উপর আদালতে দুর্বল চার্জশিট জমা দেয়ায় দুর্নীতি মামলায় এক চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে সিনিয়র স্পেশাল জেলা জজ আদালতের বিচারক ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এ আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলো যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপতালের তৎকালিন ইমাজেন্সি মেডিকেল অফিসার বর্তমানের সোহরাওয়ারদি হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারি রেজিস্টার ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কেশবপুর থানার তৎকালিন এসআই ও বর্তমানে বাগেরহাট সদর থানায় কর্মরত হিরন্ময় সরকার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালে কেশবপুরের শ্রীফলা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ছেরমত আলী গুরুতর আহত হন। এ ব্যাপারে তার ভাই কেশবপুর থানায় একটি মামলা করেন। যার নম্বর ১২, তারিখ ২৩/৩/২০১৫। এ মামলার তদন্তকালে এসআই হিরন্ময় সরকার ও যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ইমাজেন্সি চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন যোগসাজসে মিথ্যা জখমী সনদ তৈরী করে এবং এ জখমী সদনের উপর আদালতে দুর্বল চার্জশিট জমা দেন। বিষয়টি আহত ছেরমত আলীর নজরে আসলে ২০১৮ সালের ২১ মে জেলা ও দায়রা জজ আদলতে ওই দুইজনকে আসামি করে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করেন। আদালতে আদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারি পরিচালক মাহফুজ ইকবাল তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যাতা পেয়ে ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ১৯ জুলাই সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ধার্য দিনে তদন্ত প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে বিচারক তা গ্রহন করে পলাতক আসামিদের প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
রায়হান উদ্দীন