যশোর সদর উপজেলার ৫২ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা স্থগিতের নির্দেশ দেওয়ার পর তাদের মধ্যে ১৫ জনের ভাতা পূনরায় চালু রাখার আদেশ দিয়েছেন যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান। পহেলা অক্টোবর সোনালী ব্যাংক কালেক্টরেট ভবন শাখার ম্যানেজারকে এ নির্দেশ দেন তিনি। ওইপত্রে উপজেলা সমাজসেবা অফিসারও স্বাক্ষর করেছেন। পূনরায় ভাতা ফেরত পেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাদের তারা হলেন, পূর্ববারান্দিপাড়ার সিরাজুল ইসলাম, আবুল হাসেম, উপশহর ২নং সেক্টরের সরাফত হোসেন, ঘোপ জেল রোডের মুস্তাক আলী, লোন অফিস পাড়ার রবিউল ইসলাম, পুরাতন কসবার রশিদা বেগম, কাজী পাড়ার মাসরুদা খাতুন, আড়পাড়ার নুরুন্নাহার, বিরামপুরের লিয়াকত আলী, পাঁচবাড়িয়ার নবীরোন নেসা, সুলতানপুরের ফাতেমা, খোজারহাটের চিয়ারবানু, বারান্দীপাড়ার জামেলা বেগম, এনায়েতপুরে আব্দুল মতলেব ও ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের গোলাম মোস্তফা।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে জরুরি ভিত্তিতে ভাতা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। পরে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের কাগজ উপস্থাপন করেন। এরপর তিনি মন্ত্রাণালয়ে কথা বলে বিষয়টি অবহিত করেন। মন্ত্রণালয় থেকে তাকে পূনরায় ভাতা চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, যাদের হাইকোর্টে রিট করা আছে তাদের কাগজপত্র আমাদের কাছে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ওই কাগজ তারা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন পরে নির্দেশনা আসলে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ বিষয়ে ভাতা বন্ধের পর ফের চালু হওয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব বলেন, তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্বপক্ষে সকল প্রমাণপত্র রয়েছে তারপরেও তার এলাকার মোশারফ হোসেন, নেকমান ও কাওছার শক্রতা করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছেন। চেয়ারবানুর ছেলে শুকুর আলী জানান, তিনি একজন পুলিশ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় তার চাকরী। অথচ দৌলতদিহির মোশারফ ও শ্যামনগরের লুৎফর তার বাবাকে রাজাকার বানানোর পাইতারা করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে অভিযোগও দেয়া হচ্ছে। মহিউদ্দিনের ছেলে সরাফত হোসেন মুন্না সহ আরো বেশকয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, নির্বাচনে একটি পক্ষর হয়ে কাজ না করায় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।
রায়হান উদ্দিন