যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের দিয়া কাজীপাড়া বাওড়কূল গ্রামস্থ তেমাথায় ছোট ভাই কাজী আব্দুর রাজ্জাকের ধারালো গাজী দায়ের কোপে কাজী নজরুল ইসলাম খুনের ঘটনায় রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতর ছেলে কাজী মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে আপন কাকা কাজী আব্দুর রাজ্জাককে আসামী করেছে।
মামলায় মনিরুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন,২৬ জুন শুক্রবার সকাল সোয়া ৯ টায় সেজ কাকা কাজী আব্দুল আলিম কাজী নজরুল ইসলামকে ডেকে তেমাথায় নিয়ে যায়। সেখানে বলে তাদের ছোট ভাই লিয়াকত এর আম গাছ হতে কাজী আব্দুর রাজ্জাক আম পেড়ে নিয়ে গেছে। দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা বার্তা বলার এক পর্যায় সকাল সাড়ে ৯ টায় আপন ভাই কাজী আব্দুর রাজ্জাক ধারালো গাজী দা দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কাজী নজরুল ইসলামকে অর্তকিতভাবে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে। জখমের পর কাজী নজরুল ইসলামের চিৎকারে ছেলে মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা এগিয়ে গেলে কাজী আব্দুর রাজ্জাক রক্ত মাথা গাছী দা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় নজরুল ইসলামকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। মনিরুল ইসলামের দায়ের করা মামলা রেকর্ডভূক্ত হয়েছে। যার নং ৬০,তারিখঃ ২৬/০৬/২০ইং ধারা ৩০২ পেনাল কোড। মামলা তদন্তর দায়িত্ব পেয়েছেন নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গোলাম মোতুর্জা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রক্তমাখা ধারালো গাছীদা ও খুনী আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করতে পারেনি।
বিশেষ প্রতিনিধি