যশোরে এক মেয়ের সাথে পরোকিয়া প্রেমে আপত্তিকর অবস্থায় নিজের রুমে ধরা খেয়েছেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা। এঘটনায় তাকে ধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রমিকার বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ আগস্ট (রোববার) যশোর শহরের পোস্টঅফিসপাড়ায় মৃত ফজলে এলাহী মনির বাড়িতে।বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বিভিন্ন ধরণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে বিষয়টি এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে। ব্যাংক কর্মকর্তা মণিরামপুর উপজেলার আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল আলীম। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার সোনালী ব্যাংকে কর্মরত আছেন। বর্তমানে যশোর শহরের পোস্টঅফিসপাড়ায় ভাড়া থাকেন। তিনি বিবাহিত এবং তার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। ৬/৭ মাস আগে যশোর শহরের পোস্টঅফিসপাড়া এলাকায় মৃত ফজলে এলাহী মনি বাসার ২য়তলায় পরিবার সহ ফাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন।
নওগাঁ জেলার ঘুতিলিয়া গ্রামের বিরোজ সরদারের ছেলে বিল্লাল সরদারের মেয়ে ময়না খাতুন (১৬)। ময়তা খাতুন বড়, তার ছোট একটি বোনও আছে। পিতা- বিল্লাল সরদার হোটেল শ্রমিক ও মাতা- রোকেয়া বেগম বাসাবাড়িতে ঝি’য়ের কাজ করে। ময়না খাতুনের মায়ের অভিযোগ, আব্দুল আলীম মাঝে মাঝে আমার মেয়েকে ফোন করতেন এবং বিভিন্ন সময় নগদ অর্থ সহ গিফট দিতেন। প্রথমদিকে আমরা বিষয়টি বুঝতে পারিনি। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের দু’জনের চালচলন দেখে আমার সন্দেহ হয় এবং মাঝে মাঝে আমার মেয়ে ময়না খাতুন আব্দুল আলীমকে ইশারা দিয়ে ডাকতো। গত ২১ আগস্ট (শুক্রবার) মধ্য রাতে আমার ছোট মেয়ে হঠাৎ করে কেঁদে উঠলে আমি ঘরে যায় এবং দেখি আমার বড় মেয়ে ময়না খাতুন ঘরে নেই। আমি অনেক খোঁজাখুঁজির পর আব্দুল আলীমের ঘরে দু’জনকে একসাথে দেখতে পায়। ওই সময় আমি আমার মেয়ে ময়না খাতুনকে নিয়ে ঘরে চলে আসি।
পরদিন বিকেলে বিষয়টি আমি আমার স্বামী বিল্লাল সরদারকে জানাই। তখন বিষয়টি নিয়ে আমার স্বামী আব্দুল আলীমের সাথে কথা বলতে গেলে সে তখন উগ্র মেজাজ দেখায় এবং আমার স্বামীর সাথে দুর্ব্যবহার করে। এসময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতিতে আব্দুল আলীম গুরুতর জখম হয়। এসময় জখম আব্দুল আলীমকে আমাদের বাড়ির মালিকের ছেলে বিন্তা ও আমার স্বামী বিল্লাল দ্রুত তাকে ইজিবাইকে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বলেন, গত ২৩ আগস্ট (রোববার) বিকেলে মৃত ফজলে এলাহী মনির বাড়িতে প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে এবং সন্ধ্যার দিকে ইজিবাইকে করে আব্দুল আলীমকে গুরুতর জখম অবস্থায় বিন্তা ও বিল্লাল সরদার মুজিব সড়ক (পঙ্গু হাসপাতাল)’র দিকে নিয়ে যেতে দেখি। পরবর্তীতে কি হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। এছাড়াও কেউ কেউ বলেন ময়না খাতুন ভালো মেয়ে নয়। তার বিরুদ্ধে এলাকায় এবং শহরকেন্দ্রিক অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। মাস তিনেক আগে ময়না খাতুন একটি ছেলের সাথে তিনদিনের জন্য হারিয়ে যায়। পরবর্তীতের পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
রায়হান উদ্দিন
- Advertisement -