যশোরে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা আতœসাতের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) শহরতলীর আরবপুর মোড়ের মৃত রহমান বিশ^াসের ছেলে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ি আমিরুল ইসলাম কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার আসামি হচ্ছে খুলনা খালিশপুর নতুন রাস্তা মোড়ের (ইউনাইট্রেট হাউজ) বর্তমানে বালিয়া ভেকুটিয়া কাঠালতলা ওয়ারেন্ট অফিসার ইসফাকের বাড়ির ভাড়াটিয়া আজমাইন শেখ (৪৫)।
মামলায তিনি উল্লেখ করেছেন, শহরতলীর আরবপুর মোড়ে আমার ভাইপো রেজাউল করিম বাবুর আনোয়ার এন্টার প্রাইজ নামক দোকানে বসে রানা এন্টার প্রাইজ নামে বিকাশের ব্যবসা করি। ভাইপো রেজাউল করিম বাবু ম্যাট্রেসের ব্যবসা করে। আসামি আজমাইন ঘটনার ৮/১০ দিন আগে থেকেই দোকানে উঠা-বসা করতো। চুড়ামনকাঠি বাজারে তার অটো রাইসমিলের ব্যবসা আছে বলে আমাদেরকে জানায়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা আনুমানিক আড়াইটায় ৩০ হাজার টাকার ম্যাট্রেস নিয়ে ৭ হাজার টাকা দেয়। বাকি ২৭ হাজার টাকা একটু পরে দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করে। সে বলে অল্প সময়ের মধ্যে একজন লোক টাকা নিয়ে আসছে। টাকা আনার সাথে সাথে বাকি টাকা দিয়ে দেবো। এই বলে সে আমাদের সাথে কথা বার্তা বলতে থাকে। আমার বিকাশ এজেন্ট নাম্বার থেকে তার বিকাশ নাম্বারে ৩০ হাজার টাকা দিতে বলে। পুনরায় সে একই নাম্বারে আরো ৪ হাজার ৮ শ ২০ টাকা বিকাশ করতে বলে। আমি সরল মনে সে টাকাও বিকাশ করি। পরে আজমাইনকে বিকাশের টাকা পরিশোধ করতে বললে বিভিন্ন কথাবাতাৃ বলে ব্যস্ততা দেখায়। আজমাইন অত্যন্ত সুকৌশলে আমাদের দোকান থেকে বের হয়ে চলে যায়। পরে খোঁজ নিযে জানতে পারি আজমাইন শেখ এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার বিজয় নগরের কাঠ ব্যবসায়ি আবুল কাশেমের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার কাঠ বাকিতে নিয়ে টাকা দেয়নি। এঘটনার পর ২৪ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার আরিচপুরের ফার্নিচার ব্যবসায়ি মন্টু সরদারের মজুরির ১৫ হাজার টাকা না দিয়ে পালিয়ে যায়। চারজনের কাছ থেকে মোট ১ লাখ ২৮ হাজার ২০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে নিযে পালিয়ে যায়। পরে খোজ করে আজমাইন শেখকে না পেয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করি।
রাতদিন সংবাদ