যশোরে কথিত পুলিশের সোর্স সন্দেহ করে এক যুবকের নতুন এ্যাপাচি আরটিআর মোটর সাইকেল জ্বালিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ওই মটরসাইকেল যে গ্যারেজে ছিলো সে গ্যারেজেরও কিছু মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ হাবিব নামে একজনকে আটক করেছে। সে বেজপাড়া মসজিদ বাড়ী রোডস্থ মৃত রোস্তম আলীর ছেলে। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, বেজপাড়া বিহারী কলোনার আলমের ছেলে রাব্বী, বেজপাড়া মসজিদ বাড়ির রোডের মৃত রোস্তম আলীর ছেলে হাবিব, বেজপাড়া আজিমাবাদ কলোনীর বাবলুর ছেলে খুরশিদ, আসলাম কসাইয়ের ছেলে জনি, কালু ও মৃত আসলাম কসাইয়ের ছেলে আকাশসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
যশোর শহরের বকচর হুশতলা, র্যাব অফিসের কাছে আবাসিক পাড়া আব্দারের বাড়ির ভাড়াটিয়া শফি শেখ এর ছেলে রমজান আলী বাদী হয়ে য়ে বুধবার ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আসামীরা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে। আসামীগত এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। তারা রমজান আলীকে সন্দেহ করে যে, রমজান আলী তাদের বিরুদ্ধে পুলিশে কাছে তথ্য দেয়। যার কারণে বেশ কয়েকদিন যাবত বাদীকে ক্ষতি করার জন্য হুমকী দিয়ে আসছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে রমজান আলী শহরের বেজপাড়া মেইন রোড জনৈক রেজাউল করিম সোহাগের বাড়িতে দাওয়াতে আসে। আসামিরা তার বাড়ির সামনে পেয়ে বলে তুই আমাদের ব্যাপাওর পুলিশের কাছে তথ্য দিস। তোকে দেখিয়ে দেবো। রমজান আলী আসামীদের কথায় কোন প্রতিবাদ না করে মোটর সাইকেল চালিয়ে রেজাউল করিমের ১তলা ভবনের পূর্ব পাশের রিকশা রাখার গ্যারেজ ঘরে রেখে সোহাগের বাসায় ঢুকে খাওয়া দাওয়া শুরু করে। রাতে সাড়ে ১২ টায় গাড়িতে প্রেট্রোল আগুন জালিয়ে দেয়। পরে রমজান আলী ও রেজাউল করিম সোহাগ ঘটনা দেখে দ্রুত বাইরে আসলে আসামীরা দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। দ্রুত পানি দিয়ে নিভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বাদী অভিযোগে আরো বলেছেন, আগুনে ১লাখ ৮১ হাজার টাকার মোটর সাইকেল ও সোহাগের ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ব্যাটারী চালিত রিকশা, গ্যারেজ ঘর পুড়ে ১লাখ টাকাসহ মোট ৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় বুধবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহার ভূক্ত আসামী হাবিবকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
রাতদিন সংবাদ
- Advertisement -