যশোরে বড় বোনের কাছে ধারের ও সুদের টাকা না পেয়ে ছোট বোনের মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে । এদিকে ঠেকাতে এসে স্বামীকে মারপিটের স্বীকার হতে হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার কোতয়ালি মডেল থানায় আসামীদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন যশোর শহরতলির বালিয়াডাঙ্গা পূর্বপাড়ার সোহাগের স্ত্রী পারুল, হাফিজুর রহমানের ছেলে সোহাগ ও হাফিজুর রহমানের ছেলে অন্তুু সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন।
যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা পূর্বপাড়ার মৃত এলাহী বক্সের ছেলে রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার কোতোয়ালী থানায় আসামীদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগে বলেছেন, তার স্ত্রী লিপি বেগমের বড় বোন সায়েমের স্ত্রী মুন্নী উক্ত আসামীদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার স্বরুপ গ্রহন করে। মুন্নী তার স্বামীর সাথে গোলযোগ করে তার বাড়ি হতে পুলিশ লাইন টালী খোলাস্থ তার পিতার বাড়িতে চলে যায়। উক্ত আসামীরা তাদের পাওনা টাকা নিতে এসে মুন্নীকে না পেয়ে উক্ত টাকা পরিশোধের জন্য রফিকুল ইসলামের উপর চাপ সৃষ্টি করে । বুধবার ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় উক্ত আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী লিপি বেগমকে টাকা পরিশোধ করতে বলে। লিপি বেগম উক্ত টাকার বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে জানান। এমনকি লিপি বেগম জানান যে টাকা নিয়েছে তার কাছে গিয়ে চাইতে বলিলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে লিপি বেগমকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করলে পড়ে যায়। পরে তার মুখের মধ্যে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালায়। রফিকুল ইসলাম বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে স্ত্রীর অবস্থা দেখে উদ্ধারের চেষ্টা করলে আসামীরা লিপি বেগমে ছেড়ে দিয়ে রফিকুল ইসলামকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে। স্বামীর স্ত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা উক্ত টাকা পরিশোধ না করলে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। মূমূর্ষ অবস্থায় লিপি বেগমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। রফিকুল ইসলাম নিজেও প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে। পরে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যাপারে কোতয়ালী থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শেখ তাসমীম আলম বলেন, এস আই ওয়াহিদুজ্জামান বিষয়টি তদন্ত করছেন। আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
- Advertisement -