যশোর সদরের নালিয়া ধানঘাটা গ্রামের কিশোরী রিনি হত্যার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও পিতাসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। বুধবার ওই কিশোরীর মা নালিয়া ধানঘাটা গ্রামের লিটন হোসেনের স্ত্রী রিনা পারভীন এ মামলা করেছেন। আাসামিরা হলো নীলফামারি জেলার সৈয়দপুর থানার খোর্দ্দ কেতালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রিনির স্বামী প্রদীপ ওরফে রঞ্জিৎ ওরফে রবি ও তার পিতা গোপাল চন্দ্র রায়, মা প্রতিমা রানী, পিতা লিটন এবং সৎ মা শারমিন খাতুন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো.সাইফুদ্দিন হোসাইন অভিযোগটি গ্রহন করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি প্রদীপের সাথে রিনির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রদীপ যশোর এসে তার কন্যাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। শহরের ক্যাফে মদিনা হোটের সামনে থেকে পুলিশ তাদের সন্দেহজনক ভাবে আটক করে জিডি করে আদালতে সোপর্দ করে। পরদিন রিনিকে তার মা ও প্রদীপকে তার পিতা জিম্মায় গ্রহন করেন। এরপর রিনির পিতা ও সৎমা প্রদীপের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করিয়ে বিয়ে করতে প্রলুব্ধ করে। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি রিনির সৎমা আসামি শারমিন খাতুন তার বাড়িতে নিয়ে আসে তাকে। এরপর রিনির মা তার বাড়িতে খোঁজ নিতে এসে জানতে পারে প্রদীপ তাকে নিয়ে গেছে। লিটন ও শারমিন খাতুন তাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় রিনিকে ফেরত এনে দিবে বলে। রিনি তার মাকে ফোন করে জানায় প্রদীপ তাকে বিয়ে করে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেছে। ৫ জানুয়ারি লিটন ফোন করে জানায় প্রদীপের বাড়িতে রিনি মারা গেছে। আসামিরা রিনিকে মারপিটের পর শ্বাসরোধ ও মুখে কীটনাশক ঢেলে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
রাতদিন সংবাদ