যশোরে এক আসামিকে ক্রসফায়ার এড়িয়ে মুক্ত করে দেয়ার কথা বলে তার স্ত্রীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। কিন্তু, ওই আসামিকে চালান করে দেয়ার পর তার স্ত্রী টাক ফেরত চাইলে নানা হুমকি দিচ্ছে তারা। এবিষয়ে কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। অভিযুক্তরা হলেন শংকরপুর জিরো পয়েন্ট মোড় এলাকার মৃত আইয়ুব শিকদারের ছেলে টুটুল শিকদার, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার দিনু মোল্লার ছেলে আলো মোল্লা ও সোহাগ এবং যশোর সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখা এলাকার রনি। অভিযোগে আটক আসামি আল আমিন শিকদারের স্ত্রী শিলা খাতুন বলেন, তার স্বামীকে গত ২৮ জুন বেনাপোল থেকে পুলিশ সাদা পোষাকে আটক করে। পরে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। বেনাপোল পোর্টথানা, কোতোয়ালী মডেল থানা ও ডিবি অফিসে যেয়েও কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে অভিযুক্ত টুটুল, আলো ও সোহাগ তাদেরকে জানায় আলামিনের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের বড়ভাই রনি খোঁজ নিয়েছে। কিন্তু তাকে ছাড়াতে হলে এক লাখ টাকা দিতে হবে। অন্যথায় তাকে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে। পরে তারা শিলাকে রনির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যেয়ে রনির হাতে এক লাখ টাকা দেন তিনি। কিন্তু আলামিনকে না ছেড়ে ২৯ জুন একটি চুরি মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামিকে ছাড়াতে না পারায় টাকা ফেরত চান শিলা। কিন্তু, অভিযুক্তরা নানা টালবাহানা করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে ২৯ জুনই থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিলা খাতুন।শিলা খাতুন আরও বলেন, ‘টাকা না দিলে আলামিনকে গুম কিংবা ক্রসফায়ারে দেয়া হবে বলে তাকে ভয় দেখানো হয়। বাধ্য হয়ে গহনা বন্ধক ও সুদে টাকা এনে রনির হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেই। অথচ পরে জানতে পারি আমার স্বামী চাঁচড়া ফাড়িতে ছিল এবং পুলিশ কোনো টাকা নেয়নি। সব টাকা রনিসহ অন্যরা হজম করেছে’। এবিষয়ে তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কোতোয়ালী থানার এস আই মফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টির খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
বিশেষ প্রতিনিধি