শোক, শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবির মধ্যে দিয়ে যশোরের প্রথিতযশা সাংবাদিক শহীদ সাইফুল আলম মুকুলের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার সকাল ১১টায় কালোব্যাজ ধারণ, শোকর্যালি ও শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ১৯৯৮ সালের এই দিনে সন্ত্রাসীদের বোমা ও গুলিতে নিহত হন তিনি। করোনার কারণে এ বছর সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সাইফুল আলম মুকুলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরের চত্বর থেকে শোকর্যালি বের হয়ে শহরের পিয়ারী মোহন রোডে অবস্থিত মরহুমের স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। এতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকরা অংশ নেন। এরপর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহীদ সাংবাদিক সাইফুল আলম মুকুলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান প্রেসক্লাব যশোর, যশোর সংবাদপত্র পরিষদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, গ্রামের কাগজ পরিবার, দৈনিক স্পন্দনসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম উদ-দ্দৌলাহ, সাধারণ সম্পাদক ও গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক আহসান কবীর, সহসভাপতি আনোয়ারুল কবির নান্টু, যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদ জামান, সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবা সম্পাদক তহীদ মনি, দৈনিক স্পন্দনের নির্বাহী সম্পাদক মাহবুব আলম লাভলু, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি সাজেদ রহমান বকুল, সাধারণ সম্পাদক মিলন রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি শহীদ জয়, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দীনু আহমেদ, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুজ্জামান মুনির প্রমুখ। দীর্ঘ ২২ বছর পরও খুনীদের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতারা।
১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে যশোর শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলা ও গুলিতে নিহত হন দৈনিক রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল।
রাতদিন সংবাদ