মাগুরা জেলার শালীখা থানার ভাটইখালীতে নাসিমা খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মেহেদি হাসানের স্ত্রী ও যশোর সদর উপজেলার কাজীপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে। মৃতের পিতৃ পক্ষের অভিযোগ, স্বামীর পরকিয়ার জন্যে নাসিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। স্বামীর দাবি, সাংসারিক বিরোধের জেরধরে তার স্ত্রী গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মৃৃতের পিতা হাফিজুর রহমান জানান, চার বছর আগে তার মেয়ের সাথে মাগুরার ভাটইখালী গ্রামের মেহেদি হাসানের বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে তাদের তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। গত দু’বছর ধরে মেহেদি প্রতিবেশি এক নারীর সাথে পরকিয়া করে আসছিলো। এ নিয়ে সংসারে বিরোধ চলে আসছিলো। গত এক মাস আগে তার মেয়ে স্বামীর অভিমান করে কাজীপুর গ্রামে তার বাড়িতে চলে আসেন। ছয় দিন আগে জামাই মেহেদির পরিবার কাজীপুর গ্রামে এসে নাসিমাকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে গেছেন। শনিবার রাতে জামাই মেহেদি ফোনে ওই নারীর সাথে কথা বলছিলো। এ সময় স্ত্রী নাসিমা বাধাদিতে এলে তাদের স্বামী ও স্ত্রী মধ্যে বিরোধ হয়। রোববার সকালে মেহেদি গ্রামে প্রচার করে তার স্ত্রী গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মৃৃতের পিতা হাফিজুর রহমানের অভিযোগ, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। জামাই মেহেদি পরকিয়ার জন্যে তার নাসিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। সোমবার দুপুরে মৃত নাসিমাকে কাজীপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেছেন।
শালীখা থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, প্রথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তাবে, পরিবারের পক্ষথেকে হত্যার দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব হবে।
রাতদিন সংবাদ