যশোরের মণিরামপুরের বাকোশপোল গ্রামে প্রভাবশালীরা নিরীহ একটি পরিবারের বসতভিটার জমি বেদখলের পায়তারা করছে একটি চক্র। ভূমিদস্যুদের ভয়ে নিরীহ ওই পরিবার বর্তমানে গৃহবন্ধি জীবনযাপন করছেন। এ ব্যাপারে একাধিক বার গ্রাম্য সালিশ বিচার হলেও কোনো সমাধান হয়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য হাজী জামাত আলী (৭৫), তার স্ত্রী রহিমা বেগম (৬৩) ও ছেলে সোহরাব হোসেন (৩২) থানায় একাধিক বার অভিযোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ভূমিদস্যুরা তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সোহরাব হোসেন জানান, তার পিতা জামাত আলীর কাছ থেকে একই গ্রামের স্বপনের স্ত্রী টুম্পা রানী ১০ শতক জমির জন্যে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা অগ্রিম গ্রহণ করেন। এ জমির দালালি করেন নারায়ণ দাস নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু জমি বিক্রির বিষয়ে বাড়িতে কাউকে জানাননি জামাত আলী। পরে বিষয়টি তার মা রহিমা বেগম ও তিনি জানতে পারেন । এরপর একমাস আগে তিনি জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করেন ও ওই টাকা টুম্পা রানীকে ফিরত দেন। এ সময় জমির দালাল নারায়ণ আরো ১০ হাজার টাকা জরিমানা হিসাবে অতিরিক্ত আদায় করেন। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন নারায়ণ, আবজাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সোলাইমান মোল্লাসহ সাত-আট জন তাদের বাড়িতে যেয়ে ওই জমিটি আবারও বিক্রি করতে চাপ দিচ্ছেন। তারা বিক্রি করলে অস্বীকার করাতে বর্তমান পরিবারের সদস্যদের বাড়ি থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি জমিতে নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার প্রস্তুতি নিয়েছে জমি দখলকারী চক্রটি।
ভুক্তভোগী জামাত আলী জানান, তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের না জানিয়ে জমিটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে জানাজানি হবার পর তিনি অগ্রিম নেয়া টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। আগে যে দাম দিতে চেয়েছিলেন তার অর্ধেক দামে জমিটি বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছে ওই চক্রটি। তিনি বর্তমান নামাজ আদায় করতে মসজিদেও যেতে পারছেন না। তার ছেলে বা তিনি বাড়ি থেকে বের হলেই তাদের বিভিন্ন হুমকি দেয়া হচ্ছে। একাধিক বার থানায় অভিযোগ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হলেও তাকে রাস্তা থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে চক্রটি। তিনি প্রশাসনের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন।
মণিরামপুর প্রতিনিধি
মণিরামপুরে ভূমিদস্যুদের ভয়ে এক পরিবার গৃহবন্ধি , মসজিদে যেতেও বাধা!
- Advertisement -
- Advertisement -