যশোরের মণিরামপুরে উপজেলার গোবিন্দপুর পল্লীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আব্দুস সাত্তার গোলদার নামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ খুন হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আব্দুস সাত্তার একজন শিক্ষক ছিলেন।পরে ভাইপোকে স্থানীয়রা গনপিটুনি দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার সকালে ও বিকেলে দুই দফা জমিজমা নিয়ে পারিবারিকভাবে আব্দুস সাত্তার ও তার অন্য ভাইদের বসাবসি হয়। বিকেলে শালিসের শেষ পর্যায়ে আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে তার সেজ ভাই আব্দুল হামিদের কথাকাটাকাটি হয়।
- Advertisement -
একপর্যায়ে আব্দুল হামিদ, তার তিন ছেলে ইসমাইল, পারভেজ ও সোয়াইব এবং তার ছোট ভাই রোকনুজ্জামান আব্দুস সাত্তারের ওপর হামলা চালায়। এসময় আব্দুস সাত্তরের বুকে লাথি ও কিল-ঘুষি মারে পারভেজ। এতে আব্দুস সাত্তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে নেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সন্ধ্যায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জুয়েল বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আব্দুস সাত্তারের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারিতে আহত হন আব্দুস সাত্তার। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে তবে তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগের বিষয়টি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাবার পর বলা সম্ভব হবে বলে জানান। এদিকে অপর একটি সূত্র জানায় ঘাতক ভাইপো পারভেজ হোসেন নিহতের সেজ ভাই আব্দুল হামিদের ছেলে। সে পুলিশ হেফাজতে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। চাচার ওপর হামলার পর উপস্থিতরা তাকে পিটুনি দেয়। এর ফলে সে আহত হয়। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিশেষ প্রতিনিধি
- Advertisement -