মণিরামপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে যুবকের অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনার প্রতিবাদ করায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নয় জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ রবিউল ইসলাম নামে একজনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার ঘুঘুরাইল পশ্চিমপাড়ায় এঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, ওই পাড়ার মৃত আফসার গাজীর তিন ছেলে আনিসুর গাজী, সামছুর গাজী ও মুজিবর গাজী, আনিসুরের দুই ভাইপো সুমন গাজী ও নজরুল গাজী, একই গ্রামের হায়দার আলী, আমজেদ হোসেন,হাফিজুর রহমান এবং রকি হোসেন। আহতদের মধ্যে সুমন ও নজরুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বাকিরা মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।পূর্বের সম্পর্কের জেরে গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে আনিসুর তার পাশের বাড়ির এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেন। ঘটনা টের পেয়ে ওই নারীর শ্বশুর বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে চিৎকার দেন। পরে আমজেদসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের দরজা খুলতে বলেন। দরজা না খোলায় রাত দুইটার দিকে মণিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় পুলিশ আনিসুরসহ ওই নারীকে থানায় নিয়ে আসে। পরের দিন তারা থানা থেকে ছাড়া পান। ওই ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার রাতে আনিসুর ও প্রতিবাদী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে আনিসুর গ্রুপ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।আহত হায়দার বলেন, আমার ভাই আমজেদ ওই রাতে চিৎকার শুনে প্রথমে এগিয়ে যান। তখন তিনিও আনিসুরকে দরজা খুলতে বলেন। সেই ঘটনার রেশ ধরে মঙ্গলবার রাতে আমজেদ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে আনিসুর ও তার ভাইয়েরা তাকে মারপিট করে। এসময় আমজেদকে ঠেকাতে আসলে তারা হাফিজুরকে মারপিট করে। পরে ঘটনা জানাজানি হলে দুই পক্ষের মারামারি হয়।আহত আনিসুর জানান, তিনি টাকা ধার চাইতে ওই নারীর ঘরে যান। তখন শত্রুতা করে তাকে ফাঁসিয়ে দেন হায়দাররা। হায়দারদের সাথে জমি নিয়ে তাদের বিরোধ রয়েছে।মণিরামপুর থানার এসআই কাজী নাজমুস সাকিব বলেন, মারামারির ঘটনায় রবিউল নামে একজন আটক আছে। এই ঘটনায় আনিসুর গ্রুপ মামলা করেছেন।
রাতদিন সংবাদ