কাগজ সংবাদ
যশোর মণিরামপুরের তাজপুর গ্রামের নিহত কৃষক নজরুল ইসলামের পরিবার মামলা করে জীবন নিয়ে শঙ্কায় পরেছেন। মামলা তুলে নিয়ে আসামিদের স্বজনদের অব্যহত হত্যার হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা। বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্কার কাছে জানালেও কোন ফল হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার নিহতের স্ত্রী মামলার বাদী পারুল খাতুন তদন্তকারী সংস্থার পরিবর্তন চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন।
মামলার বাদী পারুল খাতুন জানান, গত ৩০ মে সন্ধ্যায় একই গ্রামের আসাদুল, জব্বার ও মেহেদী জামিতে সেচ দেয়ার কথা বলে তার স্বামীকে বাড়িথেকে ডেকে নিয়ে যায়। মাঠের মধ্যে ঝাল ক্ষেতে আসামিরা কোদাল দিয়ে নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে। পরদিন সকালে নিহতের ছেলে জাহিদুল ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ ড্রেনের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে। এ ঘটনায় মণিরামপুর থানায় মামলা করতে গেলে মামলার এজাহার পুলিশ মনগড়া বক্তব্য লিখে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এতে তার ছেলেকে কোথাও স্বাক্ষী করা হয়নি।
পুলিশ সুপারের নিকট প্রেরিত আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ জুন গভীর রাতে একদল মুখোশ পরা লোক নিহতের বাড়িতে যেয়ে মামলা মিটিয়ে নিতে বলে। অন্যথায় তাদের খুন জখম করা হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে জিডি করতে থানা পুলিশ তা গ্রহন করেনি। বিষয়টি তদন্তকর্মকর্তাকে জানালেও তিনি কোনো সাড়া দেননি বলে জানান নিহতের স্ত্রী পারুল। তিনি আরো জানান, বর্তমানে থানা পুলিশ তাদের কোন সহযোগিতা করছেনা। আসামি পক্ষের লোকজনদের এ মামলায় স্বাক্ষী করা হচ্ছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। থানা পুলিশ এ মামলার তদন্ত করলে তারা ন্যায় বিচার পাবেনা উল্লেখ করে অন্য কোন তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে এ মামলার তদন্তের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানান তিনি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহাবুল আলম জানান, এ মামলার এজাহারনামীয় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যকেউ জাড়িত আছে কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। বাদীকে হুমকির বিষয়ে তারা জানতে পেরেছেন। সে বিষয়েও তারা তদন্ত করছেন বলে জানান।
মণিরামপুরের নজরুল খুনে মামলা করে বিপাকে বাদী পরিবার, তদন্তকারী সংস্থার পরিবর্তন দাবি
- Advertisement -
- Advertisement -