মণিরামপুরে প্রাইমারি শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও প্রতারণা মূলকভাবে সাড়ে ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলার জিএম বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করেছেন আদালত। আসামি বাবু একই উপজেলার হানুয়ার গ্রামের কলেজপাড়ার মৃত ইরফান আলী গাজীর ছেলে।
গতকাল যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিচারক মাহমুদা খাতুন এই আদেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ৫ মার্চ ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে বাবু ওরফে জিএম বাবু নামে একই আদালতে মামলা করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাদী একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। দুইটি মেয়ে ও একটি ছেলেসহ ২০১৪ সালে স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরপর তিনি মণিরামপুরের রাজগঞ্জ বাজার এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া বসবাস করে আসছেন। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে আসামি বাবু ওরফে জিএম বাবুর সাথে তার পরিচয়। সেই সুবাদে বাদীর ভাড়ায় বাসায় বাবুর যাতায়াত করার এক পর্যায় তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই সাথে বাদীকে বিয়ে করার জন্য নানা ধরনের প্রলোভন দেখান বাবু। এক পর্যায় বাদী তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়লে বাদীর সাথে বাবু শারীরিক সম্পর্ক করে। একই সাথে বাবু বিভিন্ন সময় বাদীর কাছ থেকে প্রতারণা মূলকভাবে ২২ লাখ ৩১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে বাদীকে দিয়ে ঋণ করে নিয়েছেন আরো কয়েক লাখ টাকা। তবে ওই ঋণের ক্ষেত্রে আসামি প্রতারক বাবু নিজেকে বাদীর স্বামী পরিচয় দিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত গত ৩ মার্চ আসামিকে বাসায় ডেকে নিয়ে বাদীকে বিয়ে করার জন্য বলা হয়। এসময় আসামি বাবু তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। ২০১৮ সালের ৫ মার্চ ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এ মামলা করেন। বিচারক মাহমুদা খাতুন মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে আদেশ দেন। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মান্নান তদন্ত শেষে ঘটনাটির প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছেন বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
রাতদিন সংবাদ