Saturday, September 14, 2024

ভেকুটিয়ার রাসেল হত্যা মামলায় আরো দুই আসামি আটক, আদালতে স্বীকারোক্তি

- Advertisement -

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দে খুন হওয়া বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ ওরফে রাসেল হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এনামুল সহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে নড়াইল সদর উপজেলার মীর্জাপুর এলাকা থেকে প্রথমে এনামুলকে আটক করে যশোরের ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ দল। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বালিয়া ভেকুটিয়া এলাকায় অভিযান অপর আসামি মফিজুরকে আটক করা হয়। একই সাথে মফিজুরের বসত বাড়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গাছি দাঁ উদ্ধার করে পুলিশ। আটক এনামুল যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের ইনছার আলীর ছেলে অপর আসামি মফিজুর বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে দুজনেই হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম আসামিদের জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের সালেক মৃধার ছেলে রাসেলকে গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় যশোরের বালিয়া ভেকুটিয়ায় প্রকাশ্যে হত্যা করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্র। এসময় তার বড় ভাই আল আমিনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল রাতে আবু সালেক এলাকার চিহ্নিত ২৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধি চক্রের সক্রিয় সদস্য। আসামিরা এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুন মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী মুলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। সাব্বির আহম্মেদ রাসেল ও আল আমিন আসামিদের বেআইনি কার্যকলাপে বাধা দিলে শহীদের নেতৃত্বে আসামিরা রাসেলকে খুন করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ১৫ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে রাসেলসহ কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী বালিয়া ভেকুটিয়া শ্মশান পাড়ার জনৈক রবিউল ইসলাম বাবুর দোকানের সামনে ত্রান বিতরনের তালিকা করছিলো। এ সময় শহীদের নেতৃত্বে আসামিরা বেপরোগতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় রাসেল তাদেরকে মোটর সাইকেল আস্তে চালানোর জন্য অনুরোধ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ত্রাসীরা রাসেলকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ইমদাদুল হক , ওমর আলী, রেজাউল ইসলাম, আজাদ, শাহিন আলমকে আটক করে ঘটনার ৪ দিনের মাথায়। তাদেরকে আদালতে চালান দেয়া হয়। ২০ এপ্রিল রাতে বালিয়া ভেকুটিয়ার এজাহার নামীয় আসামি শাহিন আলমকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২১ এপ্রিল তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়। এরপর ২১ এপ্রিল গভীর রাতে চৌগাছা উপজেলার মাড়ুয়া থেকে পুলিশ পিচ্চি বাবুকে আটক করে পুলিশ। সে যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। ২২ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিচ্চি বাবুকে আদালতে সোপর্দ করে। বিচারক মাহাদী হাসানের আদালতে হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার এ মামলার আরেক আসামি শান্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সর্বশেষ ১০ জুলাই রাতে তথ্য প্রযুক্ত ব্যবহার করে মামলার আসামি এনামুল সহ দুইজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
এ বিষয়ে যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ গ্রামের কাগজকে বলেন, আসামিরা হত্যার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে এ হত্যার পেছনে জড়িত আরো কয়েকজনের নাম তারা প্রকাশ করেছে। যা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে বলে জানান মি.মারুফ। অচিরেই মামলার মুল রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানান তিনি।
রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত