বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যশোর জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলকে প্রায় উম্মাদ বলে দাবি করেছে যশোর সদর উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
আজ সোমবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিপুলকে প্রায় উম্মাদ দাবি করে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক এম এম রবিউল ইসলাম জানান, ৩১ আগস্ট অতি উৎসাহী হয়ে যশোরে রাজনীতিতে বয়কট হওয়া আনোয়ার হোসেন বিপুল ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্স ও শোকসভা আয়োজন করে সমালোচিত করতে শ্রমিক সদস্য রেজওয়ান হোসেন মিথুনকে সভাপতি করেছেন। যা সাংগঠনিক বিশৃংখলা সৃষ্টি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে একজন সংসদ সদস্যকে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রকাশ ও প্রচার করেছে।
আনোয়ার হোসেন বিপুল ছাত্রলীগ পরিচয় ব্যবহার করে নানা অপকর্ম ও অবৈধ ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করেছে। আর সে তার এই অপকর্ম ঢাকতে মালিক ও বিল্ডার্স কর্তৃপক্ষকে হুমকি ধামকি দিয়ে শহরের গাড়িখানা রোডে নদী বাংলা কাসেম টাওয়ারে কয়েকটি ফ্লোর দখলে নিয়ে একটি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও ফাতেমা টেক সলিউশন নামে ব্যবসা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ হত্যা মামলায় বিপুলসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার নামে মামলা হয়। বিপুলের সাথে থাকায় ছাত্রলীগ নেতারা ফেঁসে যায়। তারপর বিপুল কৌশলে চার্জশীট থেকে তার নাম প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছে।এছাড়া যশোর টাউন হল ময়দানে লটারীর নামে প্রতারণা, সাগরদাঁড়িতে মধুমেলার নামে অশ্লীল নৃত্য, জুয়া ও মাদকের আসর বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের পৌর ও সদর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যশোর জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৩১ আগস্টের অনুষ্ঠানটি ছাত্রলীগ নেতারা আয়োজন করে। সেখানে তাকে শুধুমাত্র অতিথি করা হয়। আর নদী বাংলা কাসেম টাওয়ারের তার অফিসের ব্লিডিংটি তার মামার। তারপর সেখানে প্রতিমাসে ভাড়া দেয়া হয়। প্রতিমাসের ভাড়ার রশিদ তার কাছে রয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে তাকে জড়ানো হয়। হত্যার সাথে তার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পরবর্তীতে চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত. রোববার দুপুরে আনোয়ার হোসেন বিপুল যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর ৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে হত্যাসহ একাধিক অভিযোগ তোলেন। তার পরদিন সোমবার ছাত্রলীগের পৌর শাখা ও যশোর সদর উপজেলা শাখা আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
রাতদিন সংবাদ
- Advertisement -