লালমনিরহাট জেলা কারাগারে বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়ে জঙ্গি আসামি ছিনিয়ে নেয়ার জন্য চিঠি ও মোবাইলে হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সারাদেশের কারাগারে নিরাপত্তা জোড়দার করেছে কারা প্রশাসন।তারই অংশ হিসেবে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা জোড়দার করেছে কারাকর্তৃপক্ষ। কারাগারের সাত সদস্য বিশিষ্ট স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করা হয়েছে। কারাগারে বন্দি জঙ্গি সহ বিভিন্ন সংবেদনশীল মামলায় আটক বন্দিদের চলাচল ও গতিবিধি কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। কারাগারের চারপাশের সীমানা প্রাচীর সুরক্ষিত রেখে এবং অ্যালার্ম সিস্টেম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
কারা সূত্র জানায়, প্রধান কার্যলয় থেকে তাদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্তায় থাকার নির্দেশনা এসেছে। তার প্রেক্ষিতে কাজ শুরু করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খানকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করা হয়েছে। সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত রয়েছে। কারাগারের বাইরের গেটে দায়িত্বপালনকারীদের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। এছাড়া বহিরাগতদের প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারাসদস্যদের প্রবেশও বাহিরের ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি সহ রেজিস্টার খাতায় নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ বাধ্যতামুল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে সর্বোচ্চ সতর্কতা জোড়দার করার সাথে সাথে সার্বক্ষনিক মনিটারিং চলছে। কারো গতিবিধি সন্দেহ হলেই তা খতিয়ে দেখছেন তারা। এছাড়া তিনি আরো বলেন, ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ, রোববার পর্যন্ত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৪শ’২৫ জন বন্দি আটক রয়েছেন তাদের মধ্যে জেএমবি সদস্য রয়েছেন ১৫জন।
বিশেষ প্রতিনিধি