দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোলে একটি হাত বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে বন্দরে নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ব্যবসায়ীরা ভয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে। বন্দরের এসব কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ করেছে। ঘটনাস্থল বন্দর ও পুলিশ কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছে।বুধবার বেলা ২টার সময় স্থলবন্দর বেনাপোলের ২৩ নং শেডের পাশে এ বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।বন্দরে কর্মরত ওই শেড সহ কয়েকটি খোলা জায়াগায় রাখা আমাদনি পণ্যর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনছার সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বিশাল এলাকা নিয়ে একজন আনছার সদস্য নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত। তাই এখানে ওই সময় কে এই বোমাটি বিস্ফোরন ঘটিয়েছে তা বলা সম্ভব না।স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, বেনাপোল পোর্ট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুটি গ্রুপ এর মধ্যে বিরোধ থাকায় কয়েকদিন আগে শ্রমিকরা রাস্তায় এবং পোর্টের গেট বন্ধ করে মহড়া দিয়েছিল। তারা প্রতিপক্ষ দখল করতে পারে এরকম আশঙ্কায় দেশীয় অস্ত্র সহ বোমা নিয়ে এই মহড়া দেয়। হয়ত কেউ ওই মোটরসাইকেল কার্টুনের পাশে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল। আজ প্রচন্ড তাপে সেটা বিস্ফোরিত হয়েছে।বেনাপোল বন্দরের আমদানি রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোল। সেখানে আনছার সহ কয়েকটি নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে এ ভাবে বোমা বিস্ফোরিত হলে দেশের সর্ববৃহৎ এই বন্দরটি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমদানি কারকরা মুখ ফিরিয়ে নিবে এই বন্দর থেকে। তখন সরকার হারাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, সুতালি বাধা একটি হাত বোমা আমদানিকৃত মোটরসাইকেল পার্টস এর কার্টুনের পাাশে বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে কে বা কারা এ বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা বলা সম্ভব না। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ বিস্ফোরিত বোমার আলামত সংগ্রহ করেছে।বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান বলেন, বন্দরের বোমা বিস্ফোরনের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এটা তদন্ত করে দেখতে হবে কে বা কারা বোমাটি বিস্ফোরন ঘটিয়েছে।
বেনাপোল প্রতিনিধি