করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৬ মাসে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভারত ফেরত ২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৫১ জন দেশ-বিদেশি পাসপোর্ট যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক করোনা পজেটিভ ছিলেন। এ সময় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৪ পুলিশ সদস্য ও ৩ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা পজেটিভ হয়েছেন। তবে বর্তমানে আক্রান্তরা সবাই সুস্থ আছেন।করোনা প্রতিরোধে গত ১৩ মার্চ থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি যাত্রীদের ভারত ভ্রমণ বন্ধ করে দেশটির সরকার। এছাড়া এ পথে ভারতীয় যাত্রীদের দেশে ফেরার উপর নিষধাজ্ঞাও জারি করে তারা।এর আগে ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে প্রতিরোধ হিসেবে (৭ জানুয়ারি) থেকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভারত থেকে আসা সকল দেশ-বিদেশি যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়। যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার হাবিবুর রহমান বলেছেন, করোনা সংক্রমণ রোধে আগে ভারত ফেরত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক বেনাপোলে ১৪ দিন সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছিল। পরে সংক্রমণ ঝুঁকিমুক্ত হলে তাদের বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র দেয়া হতো। গত ১৩ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাতিল করা হয়। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে যাত্রীদের। হোম কোয়ারেন্টাইন তদারকি করবেন স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভারত থেকে যেসব যাত্রী ফিরছেন ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও করোনা সংক্রমণ রোধে কাজ করছেন। ভারতে অবস্থানরত লকডাউনের মধ্যে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতিদিন কমবেশি ফিরছেন।
অনলাইন ডেস্ক